সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সেচদপ্তরের বালুরঘাট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কুর মিশ্র বলেন, ডাঙ্গি ফরেস্টের সমস্যার কথা শুনেই উদ্যোগী হয়েছে সেচদপ্তর। আমরা ওই জায়গায় পাড় বাঁধাই করার জন্য ডিপিআর তৈরি করছি। স্থানীয় ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা বর্মন বলেন, ফরেস্টটি আমাদের অধীনেই রয়েছে। প্রতি বছর নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। গাছগুলি নদীতে চলে যাচ্ছে। তাই এই কাজের জন্য প্রশাসনের কাছে জানিয়েছিলাম। এই পাড় বাঁধাই হলে ফরেস্টটি বাঁচবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডাঙ্গি ফরেস্টে বহু গাছ রয়েছে। ওই ফরেস্টটি ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। এক সময় এখানে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা থমকে গিয়েছে। প্রতি বছর ফরেস্টের গাছ ও জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় বর্মন বলেন, এক সময় ডাঙ্গি ফরেস্টে অনেক গাছ ছিল। গাছের সংখ্যা এখন কমে গিয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর বর্ষা এলেই ফরেস্টের বহু জমি ও গাছ নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। ওই জায়গায় পাড় বাঁধাই হলে ফরেস্ট বাঁচবে।
বালুরঘাট শহর থেকে ৫ কিমি দূরে আত্রেয়ীর পাড়ে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা ডাঙ্গি ফরেস্ট। ফরেস্টে এক সময় বহু গাছ ছিল। এখন গাছের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। এদিকে আত্রেয়ীর পাড়েই রয়েছে বহু গাছ। বর্তমানে জায়গাটি পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। তাই আগামীতে ওই জায়গায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বড় প্রজেক্ট করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু জায়গাটি নদীর একেবারেই তীরে অবস্থিত হওয়ায় ভাঙনের সমস্যা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বছর বছর বহু গাছ নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বনভূমির আয়তনও কমছে। এনিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁরাও দ্রুত পাড় বাধাইয়ের দাবি জানিয়েছে।