সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সব মিলিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে পাঠক ও প্রকাশকদের স্বীকৃতি পাওয়া মালদহ জেলা বইমেলায় প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি স্টলেই দেখা গিয়েছে প্রকৃত পাঠকদের কমবেশি উপস্থিতি। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে বৃন্দাবনি মাঠ সংলগ্ন একটি ছোট্ট মাঠে অনাড়ম্বরভাবে শুরু হয়েছিল মালদহ বইমেলা। ধীরে ধীরে এই বইমেলা মেলতে থাকে পাখা। ১৯৯৫ সালে মালদহ বইমেলা স্থানান্তরিত হয় মালদহ কলেজ মাঠে।
শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় মালদহ কলেজের মাঠে বইমেলার জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শেষ কয়েক বছর মালদহ বইমেলায় অংশ নেন প্রায় ১৬০ জনেরও বেশি প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতা। রাজ্যের জনপ্রিয় প্রায় প্রতিটি প্রকাশনী সংস্থাই এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, নবনীতা দেবসেন, আবুল বাশার, তিলোত্তমা মজুমদার সহ রাজ্যের প্রায় সব স্বনামধন্য সাহিত্যিকই এই বইমেলার উদ্বোধক হিসেবে মালদহে এসেছেন বিভিন্ন সময়ে।
বইমেলা কমিটির অন্যতম যুগ্ম সচিব প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এবছর রাজ্যের বইমেলার বিভিন্ন দিন রাজ্যের মন্ত্রী, সাহিত্যিক ও কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আমলা, পুলিস কর্তা এবং সাংবাদিকরা হাজির থাকবেন। থাকছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি পৃথক বন্দোবস্ত। শুধু তাই নয়, বইমেলায় জেলার মানুষ দীপক মণ্ডল, শুভজিৎ ভাদুড়ি প্রমুখের বই পাঠকদের চাহিদার প্রথমের সারিতে রয়েছে। সব মিলিয়ে সপ্তাহের এবং বইমেলার প্রথমদিনই যেন স্থানীয় লেখকদের সঙ্গে প্রখ্যাত লেখকদের সৃষ্টি মিলেমিশে এক নতুন ঘরানা তৈরি করেছে আগ্রহী পাঠক সমাজের।
(বইমেলায় ভিড়।- নিজস্ব চিত্র)