সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে কন্যাশ্রী প্রকল্পে জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল মালদহ জেলা প্রশাসন। সোমবার তদন্তের স্বার্থে মানিকচক ব্লক প্রশাসনিক ভবনে আসেন জেলার কন্যাশ্রী অফিসার ইনচার্জ সাধন দেবনাথ সহ আর এক আধিকারিক। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রধান এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ১২ জন কন্যাশ্রীকে। এছাড়া ব্লক প্রশাসনের কর্মী থেকে শুরু করে ধরমপুরের এক সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। ২০২০ সালে মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০৪ জনের কন্যাশ্রীর জন্য আবেদন করা হয়। এদের মধ্যে ৪২ জনের অ্যাকাউন্টে জালিয়াতি হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ জন ছাত্রী সামনে এসে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদিউজ জামানকে। শনিবার প্রধান শিক্ষক তাদের নিয়ে মানিকচক থানায় সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের নামে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তারপর তদন্ত করতে আধিকারিকরা উপস্থিত হন মানিকচক ব্লক প্রশাসনিক ভবনে। কর্তব্যরত কন্যাশ্রী আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ডেকে পাঠানো হয় এনায়েতপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ছাত্রীদের। প্রত্যেককে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এবিষয়ে জেলা কন্যাশ্রী আধিকারিক বলেন, সমস্ত দিক যাচাইয়ের পর বিষয়টি সবাইকে জানানো হবে। এরপরেই তদন্তকারীরা হানা দেন জালিয়াতির ঘটনায় যুক্ত ধরমপুর সালাবাতগঞ্জের একটি সমবায় ব্যাঙ্কের সিএসপিতে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, কন্যাশ্রী জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে আমাদের ডাকা হয়েছিল। জালিয়াতির ঘটনায় সহকারী প্রধান শিক্ষক সরাসরি যুক্ত, সেকথা আধিকারিকদের সামনে তুলে ধরেছি। অন্যদিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দর দাবি, তদন্তে সহযোগিতার জন্য ডাকা হয়েছিল। আমার সই ও সিল জাল করে কন্যাশ্রীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুরনো আক্রোশের জেরে আমাকে ফাঁসাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। ২০১৯ সালে আসার পর তিনি ও টিআইসি কন্যাশ্রীর দায়িত্বে ছিলেন, আমি নই।
(কন্যাশ্রী নিয়ে অনিয়মের তদন্তের স্বার্থে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে আসেন এনায়েতপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রীরা।-নিজস্ব চিত্র)