সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এদিন বিকেলে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্ণাঢ্য মিছিল করে দুর্দান্তভাবে বইমেলার সূচনা হল। এখানকার সুন্দর পরিবেশ দেখে আমি আপ্লুত। বইমেলায় মালদহ জেলা সম্ভবত এক নম্বর স্থান পাবে। এই বইমেলার সাফল্যের পিছনে রয়েছে এলএলএ’র (লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি) আন্তরিকতা ও প্রশাসনের সবরকম সাহায্য।
গত সপ্তাহেই প্রকাশ্য দিবালোকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন রাজনীতিবিদ বাবলা সরকার। তাঁকে সম্মান জানিয়ে এবারের বইমেলার একটি প্রান্তের নামকরণ করা হয় ‘দুলাল সরকার নগর’। ঠিক একইভাবে সঙ্গীত শিল্পী সলিল চৌধুরীর শতবর্ষ এবং প্রয়াত তবলা সম্রাট ওস্তাদ জাকির হোসেনের নামাঙ্কিত মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে।
এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, বইয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আছে। মানুষ বই কিনতে চান, পড়তে চান। এই বইমেলা বাংলার অন্যতম বড় এবং ঐতিহ্যবাহী। সাধারণ মেলার সঙ্গে এর আকাশপাতাল তফাৎ।
এদিনের শোভাযাত্রা এতটাই লম্বা ছিল যে একদিকে মালদহ কলেজ মাঠে যখন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়, শেষপ্রান্ত তখনও প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে কবি ও সাহিত্যিক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বই কোনও নিষ্প্রাণ বস্তু নয়। বইয়ের কাছে যে যা চায়, তার জন্য সব আছে। যে বইয়ের কাছে রহস্য রোমাঞ্চ চায়, তার জন্য গোয়েন্দা গল্প রয়েছে। বইয়ের মাধ্যমে সহজেই সেতু নির্মাণ করা যায়। শত্রুতা ফুরিয়ে যায়, কিন্তু ভালোবাসা ফুরোয় না। আর ভালোবাসার একটি স্মারক হল বই।
এবছর বইমেলায় থাকছে মোট ২০০ টি স্টল। এর মধ্যে শুধুমাত্র বইয়ের জন্য ১৭০ টি। বাকি ৩০ টি স্টলে থাকছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, ব্যাঙ্ক, হস্তশিল্প ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য। - নিজস্ব চিত্র।