সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
চন্দ্রকুমার মণ্ডলের মা ফুলি সরকার বলেন, ছেলে খেলছিল। ওই সময়ে বোতলের মতো শক্ত ওই জিনিসটি ও পায়। পাথর দিয়ে তাতে আঘাত করে। তাতেই বিকট আওয়াজ করে সেটি ফেটে যায়। এতে ছেলের ডান হাতটি রক্তাক্ত হয়। ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই জায়গায় কীকরে বোমা এল তা বুঝতেই পারছি না। এদিকে, ওই বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বিধানসভা ভোট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে এলাকায় প্রায়ই বোমাবাজি হয়েছিল। সেই দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা না ফেটে হয়তো এতদিন পড়েছিল। কিশোর খেলার ছলে সেটি পাথর দিয়ে আঘাত করতেই ফেটে যায়। তবে কপাল ভালো হাতের অনেকটা অংশ পুড়ে গেলেও শরীরের কোথাও আঁচ লাগেনি। এলাকার আরও কোথাও এ ধরনের বোমা পড়ে রয়েছে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তাঁরা এলাকায় তল্লাশির দাবিও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাথাভাঙা-১ (বি) ব্লক তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর রায় বিশ্বাস বলেন, শুনেছি বালাসিতে এক কিশোর বোমা ফেটে আহত হয়েছে। ওই এলাকায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি ছিল। ওরাই হয়তো বোমা ফেলে দিয়েছিল। এখন ওসব ফাটছে আর এতে সাধারণ মানুষ জখম হচ্ছে।
যদিও বিজেপি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, তৃণমূলই বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃীতরাই বোমা পুঁতে রেখেছিল একাধিক জায়গায়। এখন সেগুলি ফাটছে।
এ ব্যাপারে মাথাভাঙা মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বালাসিতে এক কিশোর আহত হয়েছে। সে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। তাতে হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশুদের খেলনা বন্দুকের অনেকগুলি ক্যাপ কেউ একসঙ্গে বেঁধে রেখে দিয়েছিল। সেটিই ফেটেছে। সবটাই আমরা খতিয়ে দেখছি। - নিজস্ব চিত্র।