উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
সম্প্রতি রাজ্যের মিনি সচিবালয় ‘উত্তকন্যায়’ উদ্যানপালন দপ্তরের একটি কর্মশালায় বিষয়টি নিজেই উত্থাপন করেন বিজয়গোপালবাবু। তিনি জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চষি সমিতির সম্পাদক। তিনি বলেন, চা বাগানে কমলা লেবু সহ যেকোনও ধরনের লেবু গাছ লাগানো যেতে পারে। তা হলে বাগানে হাতির উপদ্রব কমবে। এছাড়া বাগানে নারিকেল মাছ, সুপারি গাছ, ড্রাগনফল সহ বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ লাগানো যেতে পারে। এতে বাগানে পাখির সংখ্যা বাড়বে। তা হলে চা গাছে পোকার উপদ্রব কমবে। বাগানের গাঁদা ফুলের গাছও লাগানো যেতে পারে। এতেও পোকার উপদ্রব কমে।
শুধু তাই নয়, চা বাগানে গাছের সংখ্যা বাড়লে পরিবেশে দূষণের মাত্রাও কমবে বলে বিজয়গোপালবাবুর দাবি। তিনি বলেন, বাগানে বিভিন্ন ধরনের গাছের সংখ্যা বাড়লে দূষণের মাত্রা কমবে। ভবিষ্যতে ‘কার্বন ট্রেডিং’ থেকেও আয়ের রাস্তা খুলে যাবে। এজন্যই চা বাগানে বিকল্প চাষের ব্যাপারে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব উদ্যানপালনমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে ছোট চা বাগানের সংখ্যা ৫০ হাজারের উপরে। প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে বাগানগুলি রয়েছে। এরসঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বলেন, সরকারিভাবে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ছোট বাগানের মালিকদের কাছে বিকল্প আয়ের পথ খুলে যাবে।