উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
মালদহ জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস তদন্ত করে চরম প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ওই সার্কেলের এসআইকেও তলব করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকেও ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। ডিআই অফিসের দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টরকে এই তদন্তের কাজে যুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়। তারপর নতুন করে আর পরিচালন সমিতি গঠিত হয়নি। নিয়ম বলছে, পরিচালন সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছ’মাস আগে থেকেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষা দপ্তরের।
যদিও কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জেলা শিক্ষা দপ্তরে যা তথ্য দেওয়ার দিয়েছি। এর বাইরে সংবাদমাধ্যমকে বেশি কিছু বলব না।
শুধু তাই নয়। পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষে নতুন পরিচলন সমিতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত ডিআই অফিস থেকে একজন আধিকারিককে ড্রইং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার (ডিডিও) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্কুলে পরিচালন সমিতি না থাকার বিষয়টি ডিআইকে না জানানোর ফলে কোনও ডিডিও নিয়োগ করা হয়নি। এই ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক নিজেই স্কুলের যাবতীয় খরচ করছেন বলে অভিযোগ। যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত বলে ডিআই অফিস সূত্রে খবর। হরিশ্চন্দ্রপুর শিক্ষা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ জানান, স্কুলে পরিচালন সমিতি নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালন সমিতি গঠন করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল।
ডিআই জানান, প্রধান শিক্ষকের স্কুলের টাকা খরচ করার কোনও এক্তিয়ার নেই। তিনি পরিচালন সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি ডিআই অফিসকে জানাননি। এমনকী ড্রইং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার নিয়োগের জন্যও কোনও আবেদন করেননি।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কনুয়া হাইস্কুলই নয়, মালদহ জেলায় আরও বেশকিছু স্কুলে পরিচালন সমিতি নেই। এমনকী ডিডিও নিয়োগের জন্যও কোনও আবেদন করা হয়নি। - নিজস্ব চিত্র।