উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
করিডর গঠনের ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের সায় ছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে সুকান্ত প্রথমেই এই প্রকল্প নিয়ে নিজের দপ্তরে বৈঠক করেন। পুরনো ফাইল নিয়ে নানা জায়গায় দরবারও করেছিলেন সাংসদ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই করিডর নিয়ে আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত।
রবিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যা অবস্থা, হিলি-তুরা করিডর নিয়ে আলোচনার অবকাশ নেই। যখন বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার আসবে, এই প্রকল্প নিয়ে আমরা আবার আলোচনা করব।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে মেঘালয় যেতে প্রায় দু’দিনের মতো সময় লাগে। কিন্তু হিলি সীমান্ত ধরে যদি বাংলাদেশ হয়ে মহেন্দ্রগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মেঘালয়ের তুরায় যাওয়া যায়, তাহলে মাত্র ৮৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হবে। যার ফলে মেঘালয় যেতে দু’দিনের রাস্তা মাত্র দুই ঘণ্টায় অতিক্রম করা যাবে।
এই প্রকল্প নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ একটি কমিটি রয়েছে। এই করিডর হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও স্থানীয়স্তরে ব্যবসা কয়েকগুণ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্প গড়ার দাবি জানিয়ে আসছেন জেলার সাধারণ মানুষ। এই করিডর তৈরি হলে বালুরঘাট তথা জেলার অর্থনৈতিক অবস্থাও বদলাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ওই প্রকল্প আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। তার সঙ্গে তুরা করিডরের কাজ শুরু হয়ে গেলে সোনায় সোহাগা হবে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাংসদ। বালুরঘাটে সুভাষ কর্নার এলাকায় বড় স্ক্রিনে সেই অনুষ্ঠান দেখেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি প্রচার করতে বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর পুরসভা এলাকায় বিজেপি সদস্যরা বয়স্কদের সহায়তা করবেন।
(বোল্লাকালী পুজোর মেলায় সুকান্ত মজুমদার। - নিজস্ব চিত্র।)