উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, পরের বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় ৯-০ করার পথ আরও একটু প্রশস্ত হল। নেতা, কর্মীদের পরিশ্রমের জন্য সেই জমি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এখানে নাস্তানাবুদ করেছে বিজেপিকে। পর্যুদস্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও। তারপর সিতাই উপ নির্বাচনের এই জয় স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতা, কর্মীদের মনোবল কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার তাদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা। যদিও বিজেপির দাবি, এবারের উপ নির্বাচনের কোনও প্রভাব পড়বে না বিধানসভায়।
কোচবিহারে অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। সাংসদ তৃণমূলের হলেও জেলায় বিজেপির ছয় বিধায়ক রয়েছেন। তা সত্ত্বেও সিতাই উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর মাত্র ৩৫ হাজার ভোট পাওয়া দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। বিধায়কদের এবারের উপ নির্বাচনে সেভাবে ময়দানে দেখাও যায়নি। যদিও বিজেপি বারবার দাবি করে এসেছে যে সিতাইয়ে তারা স্ট্র্যাটেজি মতোই কাজ করেছে। কিন্তু তার এই ফল নেতৃত্বকে প্রবল চাপে ফেলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, সিতাইয়ের এই ফল ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। এটা সেমিফাইনাল। বাংলার মানুষ মনস্থির করে ফেলেছে যে তৃণমূল ছাড়া কেউ নেই।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের কথায়, যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারেননি, সেখানে আর বলার কী আছে? পরের বিধানসভা নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।