সংবাদদাতা, মালদহ: নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে তৎপরতার অভাব নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি ইংলিশবাজার পুরসভা এবং মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের। এই চাপানউতোরের মধ্যেই মালদহ জেলায় পরিবেশ দূষণ ও নিকাশি সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেদার চলছে পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার। কয়েক মাস আগেও এই ক্যারিব্যাগ রুখতে নিয়মিত অভিযান চলছিল। ভাটা পড়েছে তাতেও। ফলে বোতল থেকে বেরিয়ে এসে ফের স্বমহিমায় প্লাস্টিক ‘দৈত্য’। সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন করে লাগাতার অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। পাশাপাশি এবার এই পাতলা ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। মালদহ শহরে এক সময় ৫০ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিল পুরসভা। মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। কিন্তু এই মুহূর্তে পুর বাজারগুলির ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি হকাররা দেদার ব্যবহার করছেন এই নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বারবার এই পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। এ বিষয়ে এখনও আমাদের মনোভাব অত্যন্ত কড়া। কিন্তু মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের দিক থেকে উদ্যোগের স্পষ্ট অভাব রয়েছে। শুধু খুচরো বাজার থেকে বাজেয়াপ্ত করলে হবে না, প্লাস্টিক ব্যাগের উৎস বন্ধ করতে হবে। তার জন্য দরকার বণিকসভার সক্রিয়তা। সেই ভূমিকা তারা পালন করছে না। পাল্টা মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, পুরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য একেবারেই ঠিক নয়। পুলিস ও প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কাটিহার থেকে ট্রেনে করে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ জেলায় ঢুকছে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নই। পুরসভা বা আমরা কেউই একা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হতে পারব না। আমরা চাই নতুন করে অভিযান চালু হোক। পুলিস, প্রশাসন ও পুরসভাকে সবরকম সাহায্য করব।
জেলাশাসক বলেন, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে আবার অভিযান শুরু করব। রেলপথে যাতে এই বেআইনি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ জেলায় না ঢুকতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনে রেলকেও চিঠি দেব।