শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বুধবার বিকেল থেকে শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলার পার্বত্য ও সমতলে অবিরাম বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত। মহাবীরস্থানের ফুটপাত ব্যবসায়ী বিমল দাস, হিলকার্ট রোডের স্বপন পাল, বিধান রোডের উৎপল ঘোষ বলেন, পুজোর বাজার সবে জমে উঠেছিল। জামাকাপড় ভালোই বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু, যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে ভিড় একলপ্তে অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে আশা করছি, আবহাওয়া এক-দু’দিনের মধ্যে পরিবর্তন হবে। হকার্স কর্নারের বস্ত্র ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পাল বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় বাজারে বিকেল পর্যন্ত খরা ছিল। বিকেলের পর আবহাওয়া ঠিক হওয়ায় বাজার খানিকটা জমেছে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার, হরিশপাল চৌপথি, সুনীতি রোডের দোকানগুলিতে অনেকেই পুজোর জামাকাপড় কেনাকাটা করে যান। মাথাভাঙা, দিনহাটা শহরের বাজার, শপিংমলগুলিতে ছিল সামান্য ভিড়। তবে এভাবে টানা বৃষ্টি পড়লে তাঁদের মতো ছোটমাপের দোকানিরা সমস্যায় পড়বেন বলে জানান অমল রায়, পরিমল ব্যাপারীর মতো বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
দিনভর বৃষ্টির জেরে পুজোর বাজার কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে আলিপুরদুয়ারে। জেলা সদরের মাড়োয়ারিপট্টি, পুরসভার সুপার মার্কেট, মায়া টকিজ রোড, মাধব মোড় বা নিউ টাউন মার্কেট কাপড়ের দোকানগুলিতে বৃষ্টি কমতেই লোকজন আসতে থাকেন। টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সন্দীপ ভার্মা বলেন, আশা করছি, আগামী সপ্তাহে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। ছাতা নিয়ে, রেইনকোট পরে অনেকে এসেছেন ঠিকই, তবে বৃষ্টি না থাকলে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায় সেই পরিবেশটা পাওয়া যাচ্ছে না। জলপাইগুড়ি শহরের বেগুনটারি, দিনবাজার, শান্তিপাড়ার জামাকাপড়ের দোকানগুলিতে দিনে ক্রেতাদের সেভাবে দেখা না মিললেও সন্ধ্যায় পর বাজার কয়েক জায়গায় জমে।
এদিকে, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুরেও এদিন সন্ধ্যা হতেই পুজোর বাজার জমে ওঠে। বিকেলের পর গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটের শপিংমল ও কাপড়ের বিপণীগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজারের মার্কেট কমপ্লেক্স ও দোকানগুলিতেও কেনাকাটা করতে সন্ধ্যার পর ব্যাপক ভিড় হয়।