শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এদিন শহরের একটি হোটেলে আইসিসি’র উত্তরবঙ্গ শাখার বার্ষিক সম্মেলন হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চলছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার হচ্ছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আপনারা ব্যবসায়ী। এতে কান না দিয়ে বাংলায় বিনিয়োগ করুন। এখানে শিল্পস্থাপনে জমির সমস্যা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আপনারাই আমাদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’। আপরাই এখানকার শিল্প স্থাপনের পরিবেশ নিয়ে প্রচার করুন।
উদ্যোগপতিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। অন্ডালে গ্রিন বিমানবন্দর হচ্ছে। কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ডালখোলা থেকে কোচবিহার পর্যন্ত ইকনমি করিডর হচ্ছে। শিল্প স্থাপনে ও ব্যবসার প্রসারে আপনাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।
উত্তরবঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রসারে জোর দেওয়ার বার্তা দেন মন্ত্রী। বলেন, উত্তরবঙ্গে ভারীশিল্প স্থাপন সম্ভব নয়। কিন্তু, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আনারস প্রক্রিয়াকরণ সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পস্থাপনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রেও সরকার বিভিন্নরকমভাবে সহযোগিতা করছে। মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের সভায় শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, বামফ্রন্ট জমানায় বঞ্চিত ছিল উত্তরবঙ্গ। রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী এখানে বহুবার এসেছেন। তাঁর চেষ্টাতেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, হিন্দি কলেজ হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ক্যান্সার চিকিৎসার ইউনিট হচ্ছে। এখানে শিল্পস্থাপনের পরিবেশও তৈরি হয়েছে। এদিনের সভায় সোয়াবিন চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। এদিনের সম্মেলনে আইসিসি’র উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান পদে উমং মিত্তাল এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে হর্ষ বেরেলি মনোনীত হয়েছেন।