সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ভর্তুকি দিতে চারটি ক্যাটেগরিতে আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। ২০ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জমা পড়েছে ৫ হাজার ৭৯৯টি আবেদন। বৃহস্পতিবারই উপভোক্তাদের আবেদনগুলি নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে লটারি হয়। তার ভিত্তিতে বাছাই হয় আবেদনকারীদের মধ্যে কারা ওই সুবিধা পেতে চলেছেন। যাতে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই কৃষিজীবীরা যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা পান সেটা প্রশাসন দেখছে। দিন দিন কৃষিক্ষেত্রে কাজ করার লোক কমছে। তাছাড়াও যন্ত্র ব্যবহার করলে কম সময়ে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। তাই কৃষিক্ষেত্রে যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বাড়ছে।
ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রপাতির মধ্যে ধানঝাড়ার মেশিন, খড় কাটা মেশিন, হস্তচালিত স্পেয়ার, সেচের পাইপের মতো যন্ত্রগুলি রয়েছে। এগুলিতে ক্রয় মূল্যের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন চাষিরা। একইভাবে বড় কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে পাম্পসেট, আলু তোলার যন্ত্র, ট্রাক্টর চালিত মাল্টিক্রপ থ্রেশারগুলি উল্লেখযোগ্য। এইসব যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে কেনা দামের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভর্তুকিতে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন চাষিরা। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রাদি ব্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য মোটা অঙ্কের ভতুর্কিও দেওয়া হচ্ছে। ১০ লক্ষ টাকার প্রোজেক্টে ৮০ শতাংশ হারে ভর্তুকি মিলবে। অর্থাৎ ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, রোটোভেটারের মতো বড় কৃষি যন্ত্রগুলিতে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি মেলার কথা।
জেলার কৃষি আধিকারিক প্রিয়নাথ দাস বলেন, প্রতি বছরই সরকারিভাবে ভর্তুকি দিয়ে চাষিদের যন্ত্রপাতি কিনতে সাহায্য করা হয়। কিন্তু বিগত বছরগুলির তুলনায় এবারই ভর্তুকি বাবদ অনেকটা বেশি অঙ্কের টাকা মিলছে। তাই কৃষকও বেশি সংখ্যায় সুবিধা পাবেন। ২০ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জমা পড়েছে মোট ৫৭৯৯টি আবেদন পত্র। তার থেকে ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্র কেনার সুবিধা দেওয়া হবে ৩০৪২ জন কৃষককে। তার প্রক্রিয়া চলছে।