গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাই পারফরমেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি (এইচপিএলসি) খারাপ হয়ে থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিহারের কাটিহার থেকে গর্ভবতী কিরণ কুমারী থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। তাঁকেও ফিরে যেতে হয়েছে পরিষেবা না পেয়ে। এতদূর থেকে এসে পরীক্ষা করাতে না পেরে হতাশ ওই মহিলার কথায়, আমি টেস্ট করতে গেলে বলা হয় মেশিন খারাপ রয়েছে। ফের দুর্গাপুজোর পর খোঁজ নিতে বলেছে হাসপাতাল থেকে।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতীদের জন্য থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা বিবাহিত জীবন শুরু করতে চলেছেন, তাঁদেরও এখন থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করতে বলা হয়। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
দীর্ঘদিন থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন রায়গঞ্জের সমাজসেবী কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দ্রুত এই মেশিন ঠিক করার আবেদন করছি কর্তৃপক্ষকে। দু’একটা ব্লাড স্যাম্পল বাইরে থেকে পরীক্ষা করে এনে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
কৌশিকের দাবি, বিশেষ করে যাঁরা বিবাহিত জীবন শুরু করবেন, তাঁদের জন্য থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই সন্তানকে থ্যালাসেমিয়ার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। স্বামী ও স্ত্রী যদি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নব দম্পতির একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকলে চিন্তা কম। আগেও এই মেশিন খারাপ হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্যদপ্তরে চিঠি দিয়েছিলে তাঁরা। বারবার কেন একই সমস্যা হচ্ছে বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর।
মেশিন খারাপ থাকার কথা স্বীকার করেছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায়। তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানিয়েছি। থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য দপ্তর করে। মেশিনটি ঠিক করার জন্য এক সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্য দপ্তরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী আধিকারিক মলয় আদকের কথায়, রাজ্যজুড়ে যে সংস্থা এই মেশিন ঠিক করার দায়িত্বে রয়েছে, তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। নিজস্ব চিত্র।