গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
এবিষয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। টিএসসিপির জেলা সভাপতি প্রসূন রায়ের দাবি, গোটা রাজ্যজুড়েই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। তাঁদের মদত দিচ্ছে কিছু বাম ছাত্র সংগঠন। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আর জি করের ঘটনা নিয়ে এমনিতেই উত্তাল রাজ্য। এদিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক প্রকৃতি মান্নার বক্তব্য, মেডিক্যাল কলেজের ফেস্ট ফ্রেসার্স থেকে শুরু করে সরস্বতী পুজো, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান- সবকিছুই তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্রপরিষদ আয়োজন করে। শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির ব্যানারেই এসব হয়। যে কোনও বিষয়ে টিএমসিপির সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও। জুনিয়র চিকিত্সক প্রকৃতির প্রশ্ন,আমরা জানতে চাই, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে টিএমসিপিকে এই অনুমোদন কে দিয়েছে? তাঁর সংযোজন, বাংলাজুড়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ উঠে আসছে। আমাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজেও কিন্তু থ্রেট কালচার রয়েছে। এখানেও অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে হাউস স্টাফ,সবাই এদিন গণতান্ত্রিক স্টুডেন্টস কাউন্সিল তৈরির দাবি তোলেন। একই মত আন্দোলনকারী আরেক জুনিয়র চিকিৎসক পৃথা দাসের। তাঁর কথায়, স্টুডেন্টস কাউন্সিলের দাবিটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এবিষয়ে আমরা স্যরদের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছি। প্রতিবারই তাঁরা বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কলেজ দাপিয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য ভবনের ওপরে আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ যেমন রামপুরহাট, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গণতান্ত্রিক স্টুডেন্টস কাউন্সিল ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজেও গণতান্ত্রিক স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও রেসিডেন্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন গঠন হোক। এই দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পৃথা, প্রকৃতির মতো আরও জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, কলেজ কর্তৃপক্ষর আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।