সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
প্রধানের পদত্যাগের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু প্রধান নুরি বেগম পদত্যাগ না করায় সেই রাতেই ইসলামপুর শহরের একটি লজে ব্লক নেতৃত্ব, সুজালি অঞ্চল তৃণমূল কোর কমিটি ও ২০ জন পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ব্লক সহ সভাপতি তথা সুজালি অঞ্চল কোর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন বলেন, দল করেই নুরি প্রধান হয়েছেন। কিন্তু এখন দলের নির্দেশই মানছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ আছে। বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সদস্য সমর্থন করছেন না প্রধানকে। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের নির্দেশ রয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের সরাতে হবে। সেভাবেই তদন্ত করে প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলেছিলাম। নির্দেশ না মানায় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার ঘোষণা করা হবে।
বিতর্ক প্রসঙ্গে নুরি বলেন, আগে বহিষ্কার করুক। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে যা বলার বলব। রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে, সুজালিতে ক্ষমতার রাশ এখন অন্য গোষ্ঠীর হাতে গিয়েছে। প্রনুরি বেগমের স্বামী আবদুল হক এক দশকেরও বেশি সময় সুজালি অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি স্ত্রীকে প্রধান পদে বসিয়েছিলেন। পুলিসে একাধিক অভিযোগ থাকায় বর্তমানে আবদুল পলাতক। এই সুযোগে নতুন করে অঞ্চল কমিটি তৈরি হয়েছে। নতুন কমিটি প্রাক্তন সভাপতির স্ত্রীকে প্রধান পদ থেকে সরিয়ে অনুগত পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রধান করতে চাইছে। কিন্তু প্রধান পদত্যাগ করতে রাজি নন। দলের প্রধানের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব অনাস্থাও আনতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বহিষ্কার করলেই নুরির প্রধান পদ চলে যাবে এমন নয়। তা হলে বহিষ্কার করে কী লাভ? এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দাবি, এমনিতেই প্রধান নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। বহিষ্কারের ফলে সেই সমস্যা আরও বাড়বে। সুষ্ঠুভাবে যাতে পঞ্চায়েত পরিচালনা করা যায়, সেবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হবে।