পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শালকুমারে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে আসা শিসামারা নদীর উপর জিও সিন্থেটিক বাঁধ তৈরি হয়। জিও সিন্থেটিক বাঁধ ছাড়াও শিসামারাতে আলাদা করে পুরনো মাটির বাঁধও আছে।
শালকুমার-১ পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীবাস রায় বলেন, জিও সিন্থেটিক ও মাটির বাঁধের সংযোগস্থলে ১৫-২০ মিটার বাঁধ আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। সেই কথা বর্ষার আগেই জেলা প্রশাসন, সেচদপ্তর ও পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছিল। রাজ্য সেচদপ্তরের কর্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের এই অংশ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তখনই যদি ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হতো তাহলে আজ এই পরিস্থিতি এড়ান যেত। ক্ষতিগ্রস্ত ওই মাটির বাঁধের ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। সেই ফাটল দিয়েই রবিবার নতুনপাড়ায় শিসামারার জল এলাকার ১২-১৩টি বাড়িতে ঢুকে যায়। এনিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
শিসামারা নদী পূর্ব দিকে বয়ে শালকুমারের সিরুবাড়ি এলাকায় গিয়ে শিলতোর্সা নদীতে পড়েছে। মাটির বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে সেই নদীই নতুনপাড়ার একটি ক্যানেল দিয়ে দক্ষিণ দিকে দিক বদল করছে। শিসামারার তাণ্ডবে ওই ক্যানেল এখন আস্ত একটি নদী হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশ কুমার সিং বলেন, ভুটানে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জেলার নদীগুলিতে জল বাড়ছে। রবিবার বিকালেই শিসামারার জল নেমে গিয়েছে। সেখানে বাঁধ ভাঙেনি।