পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
কালচিনির বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেন, ভুটান পাহাড়ের মাটি, পাথর খোকলাবস্তির কয়েকটি বাড়িতে ঢুকেছে। এজন্য ১২-১৩টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনা হয়েছে। দুর্গতদের দেওয়া হয়েছে রান্না করা খাবার ও মশারি। দুর্গতদের মধ্যে চাল বিলি করা হবে। রবিবার সকাল থেকে ভুটানের ধসে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন জেডিএ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার দুর্গতদের পাশে আছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে. ততদিন দুর্গতরা ত্রাণ শিবিরেই থাকবেন। জেডিএ থেকে জয়গাঁয় ধসের পরিস্থিতির রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হচ্ছে। শনিবার থেকে ভুটানে লাগাতার ভারী বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে রবিবার ভোরে খোকলাবস্তির বাসিন্দারা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, গোবরজ্যোতি নদী, খারখোলা ও যোগীখোলা ঝোরা দিয়ে ভুটানের কাদামাটি ও পাথর গড়িয়ে আসছে। সেই ধসের কাদামাটি বস্তির বাড়িতে বাড়িতে ঢুকছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট।
খবর পেয়ে সকালেই আর্থমুভার এনে দু’টি ঝোরা ও গোবরজ্যোতি নদীর মাটি সরানোর কাজ করে কালচিনি ব্লক প্রশাসন ও সেচদপ্তর। তবে ঝোরা ও নদীর ধস সরাতে মিত্র দেশ ভুটানের ফুন্টশোলিং জেলা প্রশাসন জেডিএ’কে আলাদা করে একটি আর্থমুভার দিয়েছে।
সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশকুমার সিং বলেন, সমতলে তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ভুটানে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। তারই জেরে ভুটানের ধসে কাদামাটি ও পাথর নেমে আসছে জয়গাঁর ঝোরা ও নদীগুলি দিয়ে। আর্থমুভার এনে ওই মাটি ও পাথর সরানোর কাজ চলছে।