আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিন মালদহ টাউন হলে বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ প্রমুখ। হাজির ছিলেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানও। ছিলেন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সহ অনেক কাউন্সিলারই। তবে দেখা যায়নি দলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ পাঁচ বিধায়ক, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মৌসম নুর, জেলা তৃণমূলের অন্যতম সহসভাপতি দুলাল সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস সহ একঝাঁক দলীয় নেতানেত্রীকে। অনুপস্থিত ছিলেন মালদহ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মালদহ টাউন হলে প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে কী আলোচিত হয়েছে, সেবিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি অনেকেই। তবে জেলা তৃণমূলের একাধিক পদাধিকারী জানিয়েছেন, বরফের মতো ঠাণ্ডা গলায় নিজেদের ঝাঁঝালো বক্তব্য তুলে ধরেছেন অনেকেই। জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতা বলেন, আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে রায়হানের বক্তব্যের তীব্রতা। রাজনীতিতে উনি নতুন হতে পারেন। কিন্তু এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাঁকে রীতিমতো পরিণত করে তুলেছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর এদিনের বক্তব্যে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন, দলের প্রতীকে জেতা যে কোনও নির্বাচিত বোর্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাতে শৃঙ্খলা থাকবে। পাশাপাশি উঠে এসেছে, তিন ধরনের তালিকা তৈরির কথা। যাঁরা নির্বাচনে পরিশ্রম করেও সফল হননি, যাঁরা দলের স্বার্থে কাজ করেননি এবং যাঁরা স্রেফ পদ ধরে রেখেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে এই তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেকেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উঠেছে এই বিপর্যয়ের দায় কাঁধে নিয়ে একাধিকজনের সরে দাঁড়ানোর কথাও।
শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, ব্লক স্তরে এই পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে। ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫টি ব্লক ও দুটি পুরসভা স্তরে এই বৈঠক হবে। জেলা কমিটির নেতা ও প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে থাকবেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, আমরা আরও বিস্তৃত পর্যালোচনার জন্য এই ব্লক স্তরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, লোকসভায় জেলায় দলের বিপর্যয়ের পর্যালোচনার জন্য এদিনের বৈঠকে সকলেই মন খুলে কথা বলেছেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থাকায় কয়েকজন বিধায়ক থাকতে পারেননি।
তবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দুলাল সরকার। তিনি বলেন, বৈঠকের ১২ ঘণ্টা আগে আমাকে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠার দিন থেকে দল করি। মানুষের ভোটে জিতি। ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো নই। তবুও দলের কমিটিতে যে এখনও রাখা হয়েছে তা হয়তো ‘সৌভাগ্য’!