আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত সোমবার আগে নির্মলজোতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরই মালগাড়ির সহ চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে জানা যায়, ওই সহ চালক জীবিত। তিনি শিলিগুড়ি শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। তাঁর নাম মনু কুমার। তিনি এখন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। চিকিৎসাধীন ওই সহ চালকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এদিন নার্সিংহোমে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেয়র। পরে তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত না করে মালগাড়ির মৃত চালককে দায়ী করে এফআইআর করা হয়েছে। সেই মালগাড়ির সহ চালককেও মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর থেকেই স্পষ্ট নিজেদের গাফিলতি ধামাচাপা দিয়ে তদন্তের নামে প্রহসন করছে রেল।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলেরে ডিআরএম (কাটিহার) সুরেন্দ্র কুমার অবশ্য বলেন, বড়ধরনের ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পর কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মালগাড়ির সহ চালককে কেউ হয়তো মৃত বলে দিয়েছিল। এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। তবে আমি নিজে নার্সিংহোমে গিয়ে ওই সহ চালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন ওই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে কমিশনার্স অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। তিনি আহত সহ চালকের সঙ্গেও কথা বলবেন। এদিকে, ওই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে এনজেপি জিআরপি থানায় এফআইআর করেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহযাত্রী চৈতালি মজুমদার। শিলিগুড়ি শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। তাঁর দাবি, তিনি ওই ঘটনা নিয়ে কোনও এফআইআর করেননি। তাঁর অভিযোগ, সাদা কাগজে তাঁর সই নেয় আরপিএফ ও রেলের অফিসাররা। তাঁর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ ভিডিও রেকর্ড করে। তাঁর নাম ব্যবহার করে থানায় মিথ্যা এফআইআর করা হয়েছে। এদিন মেয়র ওই যাত্রীর বাড়িতে যান। তিনি বলেন, পরিবারটিকে চিনি। ওঁদেরকে আমি আইনি সহযোগিতা করব। ডিআরএম অবশ্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে রেলের তরফে কিছু বলার নেই। এটা পুলিসের ব্যাপার। এদিন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড আশিস দে’র বাড়িতে যান মেয়র। তিনি পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। বর্তমানে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৩৯ জন যাত্রী। এরমধ্যে তিনজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। একজনের অবস্থা গুরুতর। মেয়র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রত্যেকটি মৃতদেহ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অসুস্থদেরও বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে, ২০২২ সালে জলপাইগুড়ি জেলার দোমোহনিতে বিকানির-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েছিল। সেই ঘটনার পর গত সোমবার সকালে শিলিগুড়ির নির্মলজোতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার পর যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে সরব হয়েছেন মেয়র ও তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ। দু’জনেরই বক্তব্য, রেল নিয়ে অনেক বাহাদুরি করা হলেও যাত্রী সুরক্ষার কোনও বালাই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলুয়েশন ডিভাইসের ব্যবস্থা করা হয়নি। অনেক সময়ই ট্রেনে জল, আলোর ব্যবস্থা থাকছে না। খাবারে মিলছে আরশোলা। রেল কর্মীরাও বলেন, সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না।