আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি, এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, সহায়ক, নির্মাণ সহায়ক এবং ভিএলই ও জিআরএস সময়মতো দপ্তরে আসেন না। কেউ একদিন এলে দু’দিন গরহাজির থাকেন। অনেকদিন ধরে এই অভিযোগ উঠছিল মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা সহ উপভোক্তারা পরিষেবা নিতে এসে কর্মীদের দেখা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার কোনওদিন কর্মীর অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় অফিসে।
এদিন গ্রাম অফিসে আসেন মির্জাদিঘির আক্তার হুসেন। কয়েক ঘণ্টা বসে থেকেও কর্মচারীদের দেখা না পাওয়ায় হতাশ হন তিনি। বলেন, আমি জন্মের শংসাপত্র বানাতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি সহায়ক আসেননি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে কর্মীরা মর্জিমাফিক অফিসে আসছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা অক্ষয় পালের। তাঁর বক্তব্য, সরকারি কর্মীরা সময়মতো পঞ্চায়েত দপ্তরে আসেন না। ফলে মানুষ পরিষেবা নিতে এসে হয়রান হচ্ছেন।
একই অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান আঞ্জুরা বিবিরও। বলেন, সরকারি কর্মীদের অনিয়মের বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছিলাম। আজ বিধায়ক পরিদর্শনে এসে নিজের চোখে দেখলেন। অফিসের ছয় সরকারি কর্মীর দেখা না পেয়ে বিডিও দিব্যেন্দু সরকারকে ফোনে অভিযোগ জানান বিধায়ক। মোশারফের কথায়, সরকারি কর্মীদের কর্তব্যে গাফিলতি কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। এতে মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিডিওকে জানিয়েছি। বিধায়কের অভিযোগ পেয়ে বিডিও দুপুর দেড়টায় পঞ্চায়েত দপ্তরে যান। এরপর অনুপস্থিত ছয় সরকারি কর্মীর মধ্যে চারজন দপ্তরে এসে নানা অজুহাত দেখান। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারায় বিডিও’র ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বিডিও জানান, ছয় পঞ্চায়েত কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের কাছে দু’দিনের মধ্যে উত্তর চাওয়া হয়েছে। প্রধানকে পাশে বসিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ শুনছেন বিধায়ক। - নিজস্ব চিত্র।