আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মিথ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। এমনকী ওই এজেন্সির বরাত বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে, এজেন্সি নিজেদের দাবিতেই অনড়। ওই ১০ লক্ষ টাকা খরচ নয়, কাটমানি হিসেবে দেওয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
অশোক মিত্র বলেন, বালুরঘাট পুরসভা সততার সঙ্গে কাজ করে। পুরসভার কেউ কখনও কাটমানি নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আগামীতেও থাকবে না। ওই এজেন্সির মালিক গত ১১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এমসিআইসিকে মেসেজ করেছেন। দু’দফায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে যে কাজ করেছিলেন, তা দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মেসেজের পর ২৩ ডিসেম্বর সম্ভবত টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই এজেন্সির স্ট্রিট লাইটে টাইমার লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু চারবার চিঠি দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। ১ জুন শেষ চিঠি দেওয়ার পর তিনি বুঝেছেন, পুরসভা অ্যাকশন নিতে যাচ্ছে। তারপরই পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা ওই এজেন্সিকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।
পাল্টা এজেন্সির মালিক সৌমেন সরকারের বক্তব্য, কাজের টাকা নয়। ঘুষ বা কাটমানি, যাই বলুন না কেন, ১০ লক্ষ টাকা আমাকে কাজের জন্য দিতে হয়েছে। কাজের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। আরও টাকা দাবি করেছিল। দিতে পারিনি বলে নানা কারণ দেখিয়ে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিন দফায় এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এখনও খিদিরপুর শ্মশান সহ একাধিক কাজের জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পাব। বিষয়টি লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। সময়মতো ঠিক জায়গায় প্রমাণ দেব।
বিদ্যুৎ দপ্তরের এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ সৌমেনের দাবির পর ফুঁসে উঠেছেন। তাঁর মন্তব্য, ওই ঠিকাদার আমাকে মেসেজ করেছিলেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশমতো যে টাকা দিয়েছেন, তাঁকে বলে সেটা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। এখন তিনি বলছেন, আমাকে টাকা দিয়েছেন। নিজেকে বাঁচাতে ঠিকাদার কথা পাল্টাচ্ছেন। তিনি যদি আমাকে টাকা দিয়ে থাকেন, প্রমাণ দেখান। তিনি আমাদের দপ্তরের ইনচার্জ ও ইঞ্জিনিয়ারের কাছেও ১০ লক্ষ টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।