গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পঞ্চায়েত ভোট থেকে লোকসভা নির্বাচন, গ্রামে এসে খুটামারায় সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়ে যান নেতারা। গ্রামবাসীও আশায় থাকেন। কিন্তু, সেই আশ্বাস আর বাস্তবায়িত হয় না। ভোটের আগে রাস্তা সংস্কার ও পাড়বাঁধ তৈরি শুরু হয়েছে। নদী পেরিয়ে মধ্য শীতলকুচি, পূর্ব শীতলকুচি, বড়মরিচা, রথেরডাঙা সহ অন্য গ্রামের কয়েকহাজার বাসিন্দা যাতায়াত করেন। খুটামারায় সেতু তৈরি হলে শীতলকুচি ও গোঁসাইরহাট পঞ্চায়েতের মধ্যে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে।
বাসিন্দারা বলেন, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে আমরা বহুবার সেতুর প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছি। কিন্তু, তারা গুরুত্ব দেননি। বর্ষায় নদীর জল বাড়লে সাঁকো ভেঙে যায়। তখন যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পাকা সেতু তৈরি হলে সেই ভোগান্তি মিটত।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বর্মন বলেন, এবছর সাঁকো তৈরি করে দেয়নি প্রশাসন। বাধ্য হয়ে আমারা জল ডিঙিয়ে যাতায়াত করছি। উৎপাদিত কৃষিপণ্য গোঁসাইরহাট নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা চানঘাটে সেতু চাই। যদিও বিষয়টি নিয়ে শীতলকুচি পঞ্চায়েত প্রধান পাপড়ি বর্মন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষে পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। বাসিন্দাদের দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শীতলকুচির বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, বাসিন্দারা লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরে দেওয়া হবে। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন বলেন, শীতলকুচির বেশ কিছু এলাকায় সেতুর দাবি রয়েছে। নির্বাচনের আগে নেলেরবাড়িতে পাকা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন শেষ হলে চানঘাটের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।