বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার গৌরভ শর্মা বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো নিষিদ্ধ বাজির কারবার রুখতে পুলিস সতর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা শাখার অফিসারদের নিয়ে বিশেষ টিম গড়া হয়েছে। তারা অভিযানেও নেমেছে। ইতিমধ্যে কিছু বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহর সহ দার্জিলিং জেলায় প্রতিদিনই কোভিড সংক্রামিত রোগীর হদিশ মিলছে। যাঁদের অধিকাংশই হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই অবস্থায় কালীপুজো ও দীপাবলিতে শিলিগুড়ি শহরের বায়ু দূষণ রুখতে বৃহস্পতিবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)। সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক ও পরিবেশপ্রেমীরা সবধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন।
শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শঙ্খ সেন বলেন, গতবছরের তুলনায় কোভিডের দাপট কিছুটা কমলেও সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। তা হলেও আমজনতাকে সতর্ক থাকতে হবে। সবধরনের বাজি ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ বাজিপটকা ফাটালে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়বে। এতে কোভিড সংক্রমণও বাড়বে। তাই গতবছরের মতো এবারও দীপাবলিতে সবধরনের বাজি ফাটানো বন্ধ রাখা হোক।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরও কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই গতবছরের মতো এবারও দীপাবলি আলোর মাধ্যমেই পালন করা হোক। পাশাপাশি সকলকে কোভিড বিধি মেনে মাস্ক পরে চলতে হবে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রিন্স পারেখ বলেন, বর্তমানে ভাইরাল ফিভার, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু পাওয়া যাচ্ছে। বায়ু দূষণের নিউমোনিয়ার মতো রোগ আরও বাড়িয়ে দেয়। বাজির ধোঁয়া বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়ায়। তাই এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় ন্যাফের সম্পাদক শঙ্কর মজুমদার বলেন, গতবছর সবধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার পরও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বাজি ফেটেছে। এই অবস্থায় এবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গ্রিন ক্র্যাকার্সের অনুমোদন দিয়েছে। এই আতসবাজি নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেনি পর্ষদ। তাই তাদের এই নির্দেশিকা নিয়েও আপত্তি আছে। তাঁর আশঙ্কা, পর্ষদের এই নির্দেশিকাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা শব্দবাজি বিক্রি করতে পারে।
আলোচনা সভায় সকলেই সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার দাবিতে শীঘ্রই পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করা হবে। এছাড়া ৩১ অক্টোবর এ ব্যাপারে শহরে একটি সচেতনতামূলক মিছিলও করা হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গ্রিন ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব আতসবাজি কম দূষণকারী কাঁচামাল দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। অর্থাৎ সেই বাজিতে বেরিয়াম নাইট্রেট নামক রাসায়নিক থাকে না। সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম নাইট্রেট কম পরিমাণে থাকে। শিলিগুড়ির পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকররা জানান, নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে তারা সতর্ক রয়েছেন। বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে।