বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
যদিও গ্রাহকদের অভিযোগ এবং বিক্ষোভের পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসে। বিকেলে ওই ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সনৎকুমার সেন বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করি। সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অশোক কুমার বলেন, গ্রহকদের কী সমস্যা হয়েছে তার খোঁজ নিয়ে দেখব। দ্রুত তা সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।
প্রসঙ্গত, বুধবারই গ্রাহকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওঁরাও ব্যাঙ্কের সামনে এসেছিলেন। তিনি গ্রাহকদের অভিযোগ শুনেছিলেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।
গ্রাহকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ঋণ নেওয়ার পর আমরা প্রতিমাসে কিস্তিবাবদ টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু, এখন দেখছি সেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। ঋণ শোধ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যাঙ্ক বকেয়া টাকা চাইছে। আমাদের টাকা নয়ছয় হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক জ্যোতিরানি রায় বলেন, আমি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ছোট ব্যবসা করছি। ঋণের কিস্তিবাবদ টাকা প্রতিমাসেই দিয়ে দিই। কিন্তু, জানতে পারলাম সেই টাকা নাকি জমা পড়েনি। আরএক গ্রাহক বলেন, আমি ২০১৮ সালে ঋণ নিয়েছিলাম। সুদ সহ আমি ঋণ শোধ করেছি। কিন্তু, ব্যাঙ্ক বলছে আমার নাকি ঋণ শোধ করা হয়নি। তাই আমরা ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখাই।