বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
কয়েক বছর ধরেই শিলিগুড়ি শহরে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে পুলিস। কখনও তাঁদের কাছে খাবার, আবার কখনও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এবার এই কর্মসূচিকে আরও সংগঠিতভাবে পরিচালিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন ক্লাবগুলিকে নিয়ে কালীপুজোর প্রস্তুতি মিটিংয়ে এই কর্মসূচির ব্যাখ্যা করেন পুলিস কমিশনার।
পরে সাংবাদিকদের কাছে পুলিস কমিশনার বলেন, আগে থেকেই শহরের প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ জন্য সম্মান নামে একটি কর্মসূচি চালু রয়েছে। এবার সেই কর্মসূচি নতুন করে চালু করা হবে। এ জন্য ওই প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে একটি ক্লাব ও কমিটি গড়া হবে। তাঁদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তাঁদের জন্য থাকবে একটি হেল্পলাইন নম্বর। সংশ্লিষ্ট কমিটিই সম্মান প্রকল্প পরিচালনা করবে। পুলিসের তরফে তাঁদেরকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে। এ জন্য প্রতিটি থানার অফিসারদেরকে তাঁদের এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই নতুন রূপে চালু হবে সম্মান প্রকল্প।
দুর্গাপুজোর আগে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী গড়ে সুনাম অর্জন করে শিলিগুড়ি পুলিস। তারা প্রথমে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর নাম দিয়েছিল তেজস্বীনি। মহিলা পুলিস কর্মীদের নিয়ে এই বাহিনী গঠিত। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক মিটিংয়ে বিষয়টি শুনে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর নাম পাল্টে করেন উইনার্স। তিনি ওই বাহিনী রাজ্যের প্রতিটি জেলা পুলিসকে গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস কমিশনারের দাবি, এই মহিলা বাহিনী থাকায় এবার দুর্গাপুজোয় ইভটিজিংয়ের কোনও অভিযোগ থানায় হয়নি।
উইনার্স বাহিনীর পর শিলিগুড়ি পুলিস সম্মান প্রকল্প পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় বিভিন্ন মহল খুশি। তাদের বক্তব্য, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁদের ছেলেমেয়ে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে এক-দু’বার এখানে আসেন। অনেকে আবার বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিয়েছেন। কাজেই পুলিস যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অনেক সুবিধা হবে। তাঁরা শেষ বয়েসে কিছুটা নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন।
এদিন পুজোর মিটিংয়ে পুলিস কমিশনার ছাড়াও ডিসিপি, এসিপি, বিভিন্নার থানার অফিসার এবং পুজো কমিটিগুলি উপস্থিত ছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে অনুমোদিত কালীপুজোর সংখ্যা ৩৮৭টি। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সতর্ক থাকবে পুলিস। পাশাপাশি কোভিড বিধি বজায় রাখতেও পুলিস তৎপর থাকবে। পুলিস কমিশনার বলেন, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। আবার বিনা মাস্কের পথচারীদের ধরতে অভিযানে নামা হবে।