বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান শেখর দাশগুপ্ত বলেন, বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় যে কাজগুলির ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়া হয়েছে, সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না করলে আমরা প্রথমে কারণ যাচাই করব। যদি দেখা যায়, কেউ ইচ্ছে করে কাজের ঢিলেমি করছে, সেই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, কাজের ঢিলেমির জন্য আমরা শহরবাসীর ভোগান্তি চাই না। এছাড়াও কাজের মান খতিয়ে দেখতে আমাদের টিম নজরদারি চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিরাজ দাস বলেন, লকডাউনের কারণে এমনিতেই আমাদের অর্ধেক কর্মীকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের কাজেরও নানা সমস্যা আগে খতিয়ে দেখতে হবে। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে ঢিলেমি করে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। পুরসভা যা ব্যবস্থা নেবে, তা মেনে নেব।
এদিকে, পুরসভার এই নতুন নিদানে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী শিবির। এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন আরএসপির চেয়ারম্যান সুচেতা বিশ্বাস বলেন, আসলে সামনেই পুরভোট। তাই শহরের কাজ শেষ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন তো শহরের বেহাল দশার কথা কেউ ভাবেনি। এখন কি শুধু ভোটের জন্যেই এই নতুন নির্দেশ? বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, সাত বছর ধরে বালুরঘাট পুর এলাকায় কোনও কাজ করেনি তৃণমূল। শহরকে গ্রামে পরিণত করেছে। রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা, সৌন্দর্যায়ন সহ সবকিছুই শেষ করেছে। এখন সামনে ভোট, তাই ঠিকাদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ভোট পেতে চাইছে। সাত বছরের কাজ দু’দিনে কীভাবে সম্ভব? এগুলি শুধুই তৃণমূলের ভোট নেওয়ার প্ল্যান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বালুরঘাট শহরের রাস্তাঘাট, নিকাশি সহ বেশকিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে। যার বেশিরভাগই মেয়াদ অল্পদিনের দেওয়া হয়েছে। সেই কাজগুলি যাতে দ্রুত শেষ করা হয়, সেজন্য আগেই ঠিকাদারদের ডেকে সতর্ক করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান শেখর দাশগুপ্ত। এছাড়াও কাজের মান যাতে খারাপ না হয়, তাও শহর ঘুরে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার, ফিনান্স অফিসার ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা দেখছেন।
বিগত দিনে দেখা গিয়েছে, শহরের বেশকিছু রাস্তা, ড্রেন নিকাশি সহ বিভিন্ন কাজের সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও শহরের সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়েও বারবার ঠিকাদারদের সতর্ক করতে হয়েছে। এছাড়া আলো, পানীয় জল সহ বিভিন্ন বিভাগেই মাঝেমধ্যেই ঠিকাদারদের কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। যা নিয়ে এবার কড়া বর্তমান পুরবোর্ড। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন পরিষেবা বেহাল। যেগুলিকে আসন্ন পুরভোটে বিরোধীরা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। সেগুলিকেই উন্নয়নের মাধ্যমে নিকেশ করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।