বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে বিজেপিই জিতবে। এখানে শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক রয়েছেন। তাঁকে সামনে রেখেই আমরা লড়ব। পরে দলের নতুন জেলা কমিটির আহ্বায়ক, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় ঘোষকে তিনি নির্দেশ দেন, শুক্রবারের মধ্যে শঙ্কর ঘোষ ও নান্টু পালকে মাথায় রেখে পুরভোটের জন্য কমিটি গঠন করার।
দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচার সেরে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন শিলিগুড়িতে আসেন। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল সহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সদস্য ও এক কাউন্সিলারকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতার অনুপস্থিতি পদ্ম শিবিরের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এনে দেয়।
পুরসভার বিগত বোর্ডে বিজেপির যে দু’জন কাউন্সিলার ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এদিন মালতী রায় উপস্থিত থাকলেও খুশবু মিত্তাল আসেননি। এদিনের অনুষ্ঠানে না আসার কারণ হিসেবে খুশবুদেবী বলেন, সকালে শহরের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়ে আমার আর যাওয়া হয়নি। যদিও এ নিয়ে দলের মধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা কমিটির এক সদস্য বলেন, অন্য দল থেকে এসে বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক, সাংসদরা একের পর তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমরা শিলিগুড়িতেও দলবদলুদের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। শঙ্কর ঘোষ সিপিএম থেকে এসেছেন, ফলে এখনও তিনি বিজেপির অনেক কিছুই জানেন না। তাই দলের জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে তিনি একা একা সব করতে চাইছেন। আর আমাদের কাছে খবর রয়েছে, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় না আসায় এখানকারও অনেক দলবদলু নেতা তৃণমূলে যোগদানের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি এখানকার বেশ কয়েকজন বিধায়ককে দলে টানার চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আর সন্দেহের তালিকায় থাকা সেই নেতাদেরই যদি পুরসভা ভোটে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে কোনওমতেই ভালো ফল করতে পারবে না বিজেপি।
জেলা কমিটির আরএক পদাধিকারী বলেন, বিধায়ক হয়েই কেউ কেউ দলের রীতিনীতি উপেক্ষা করে প্রথম থেকে এককভাবে সবকিছু করতে চাইছেন। এটা দলের আদি কর্মীরা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি নতুন জেলা আহ্বায়ক হিসেবে আনন্দময় বর্মনের নাম ঘোষণার পর তাঁদের কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তাঁদের কেউ কেউ সংবাদপত্রে বিবৃতি দিচ্ছেন। এসবের প্রতিবাদে দলের একটি বড় অংশ কিছুদিন আগে আলাদা বৈঠক করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এক বিধায়ক ও কিছু নেতার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিল। তারপরও পুরনোদের গুরুত্ব না দিয়ে দলবদলুদের প্রাধান্য দেওয়া হলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। আনন্দময় বর্মন বলেন, পুরভোটে জেতার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। নিজস্ব চিত্র