সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এই বিধ্বংসী থার্মাইট বোমা কী ? এতে রয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়ো এবং আয়রন অক্সাইডের মিশ্রণ। পোড়ার সময় অত্যন্ত বেশি তাপমাত্রা তৈরি করে এই বস্তুটি। গাছপালা থেকে শুরু করে সাঁজোয়া গাড়ি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় এই বোমা। ইউক্রেনের ৬০তম মেকানাইজড ব্রিগেড থার্মাইট বোমা দিয়ে হামলা চালানোর ভিডিও শেয়ার করেছে। সেই সঙ্গে তারা লিখেছে, ‘এই স্ট্রাইক ড্রোনগুলি আমাদের প্রতিশোধের পাখা। সোজা আকাশ থেকে অগ্নিবর্ষণ করে। এই অস্ত্র শত্রুপক্ষের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকে পুড়িয়ে দিতে পারে ‘ভিদার’। এমন ধ্বংসলীলা বিশ্বের কোনও অস্ত্র করতে পারে না।’ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার লোক কাহিনী অনুযায়ী, ‘ভিদার’ হল প্রতিশোধের দেবতা।
যদিও যুদ্ধক্ষেত্রে এটাই থার্মাইট বোমার প্রথম প্রয়োগ নয়। ২০২৩ সালে ইউক্রেনের ভুলেদার শহরে এই বোমার সাহায্যে অগ্নিবর্ষণ করেছিল রুশ বাহিনী। এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সোভিয়েত আমলের বি-২১ রকেট লঞ্চার। ১২২ এমএম গ্র্যাড ৯এম২২এস রকেটের মাথায় লাগানো হয়েছিল থার্মাইট ওয়ারহেড। বিস্ফোরণ নয়, বরং দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি সবকিছু পুড়িয়ে ছাই করে দেয় এই বোমা। সাধারণত ইস্পাত, লোহা এবং রেললাইন ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয় থার্মাইট।
এই অগ্নিসংযোগকারী মারণাস্ত্রের লাগাতার প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্সের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ লেইন ওভারটন। তাঁর কথায়, ‘আজকাল যুদ্ধক্ষেত্রে থার্মাইট বোমার ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে জনবহুল এলাকায় এই অস্ত্র প্রয়োগের সম্ভাবনা। এর জেরে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।’