আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিকে গঙ্গা ও তিস্তা নিয়ে আবার এক প্রশাসনিক ও ত্রিপাক্ষিক জটিলতার আভাস দেখা দিলেও কলকাতার জন্য দুটি সুসংবাদও রয়েছে। রাজশাহী থেকে কলকাতা একটি ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। এবং চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে চালু হচ্ছে বাস যাত্রা। একদা ‘দেশ’ ছেড়ে চলে আসা লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু পরিবারের কাছে যা অবশ্যই এক খুশির বার্তা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। ৩০ বছরের মেয়াদ ছিল। সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বহুচর্চিত এবং বহু বিতর্কিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া সেই গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি। এবার ৩০ বছর সময়সীমার সেই চুক্তি আবার পুনর্নবীকরণের পথে হাঁটতে চায় তৃতীয় এনডিএ সরকার।
শনিবার ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গঙ্গা জলবন্টন চুক্তিকে রিনিউ করা নিয়ে দুই দেশ টেকনিক্যাল আলোচনায় বসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন হায়দরাবাদ হাউসে হওয়া এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি আবার রিনিউ করা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে। আর বহুদিন ধরে বকেয়া তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলতে ভারত সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল যাবে বাংলাদেশ। শনিবার দুপুরে ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর একঝাঁক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রেল থেকে স্বাস্থ্য। পরিকাঠামো অথবা মেডিকেল ভিসা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গঙ্গা এবং তিস্তা। ভারত ও বাংলাদেশের গঙ্গা জলবন্টন চুক্তির জেরে বহরমপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত প্রভাব পড়েছে বলে বিগত ২৫ বছরে অভিযোগ উঠেছে। নাব্যতা কমে যাওয়া, নদীতে চর পড়ে যাওয়া, আবহাওয়ার বদল ইত্যাদি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গা জলবন্টন চুক্তির প্রভাব মাথায় রেখেই প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। শনিবারও তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালবাসি। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। কিন্তু আমার কাছে বাংলার স্বার্থই সবার আগে। বাংলার স্বার্থ দেখতে হবে না!