বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
২০১৭ সালে আমেরিকায় চালু হয় সিএএটিএসএ। এই আইন অনুযায়ী, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনলে, সংশ্লিষ্ট দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ওয়াশিংটন। কিন্তু, দুই মার্কিন সেনেটর চিঠিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগী ভারত। প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরবর্তীতে রাশিয়ার কাছে থেকে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে যুদ্ধাস্ত্র কিনছে নয়াদিল্লি। তাই ভারতের উপর সিএএটিএসএ চাপানো উচিত হবে না। ‘ইন্ডিয়া ককাস’-এর ওই দুই সেনেটর আরও লিখেছেন, এই আইনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, রাশিয়ার অনৈতিক কার্যকলাপগুলির বিরোধিতা করা। আমেরিকার সহযোগী রাষ্ট্রগুলিকে বিব্রত করা নয়। ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁদের সওয়াল, আগের তুলনায় রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি অনেকটাই কমিয়েছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার উচিত রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনার বিকল্প পথগুলি খোঁজার জন্য ভারতকে উৎসাহিত করা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের একমাসের মধ্যে দু’দেশের নৌবাহিনীর সমন্বয় বাড়াতে উদ্যোগী হল নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, বাহরিনে অবস্থিত ৩৪ সদস্যের কম্বাইনড মেরিটাইম ফোর্সে (সিএমএফ) অংশ নিতে রাজি হয়েছে ভারত। এই সিএমএফের নেতৃত্বে রয়েছেন মার্কিন নৌবাহিনীর এক ভাইস অ্যাডমিরাল। তাঁর ডেপুটি হিসেবে রয়েছেন এক ব্রিটিশ কোমোডর। এই বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন অথবা কমান্ডার র্যাঙ্কের লিয়াজঁ অফিসারকে বাহরিনে পাঠাবে ভারত। তবে, সেখানে কোনও যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে কি না, সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। মূলত পারস্য উপসাগর, পশ্চিম আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে জলদস্যু ও মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাকিস্তান, ইয়েমেন, মিশর, ব্রাজিলের মতো দেশকে নিয়ে গঠিত এই যৌথ বাহিনী। সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে চীনের অতিসক্রিয়তার প্রেক্ষিতে ভারতের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।