নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
রেজিস্ট্রার অব কোম্পানির আওতায় নথিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বেসরকারি মালিকানার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও রয়েছে। তথ্য বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থার নিরিখে বেসরকারি কোম্পানির সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কেন্দ্র জানাচ্ছে, সারা দেশে যত কোম্পানি আছে, তার ৯৬ শতাংশই বেসরকারি মালিকানার অধীনে। বাকি চার শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, মূলধনের নিরিখে বিচার করলে হিসেবটি ঠিক তার উল্টো। দেশের সমস্ত কোম্পানিতে যত মূলধন খাটে, তার ৬২ শতাংশই রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি ৩৮ শতাংশ মূলধন বেসরকারি ক্ষেত্রের। কেন্দ্রের দাবি, এই বিপুল সংখ্যক রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সংস্থার মধ্যে বিদেশি কোম্পানি আছে ৫ হাজার ২১৬টি। তাদের মধ্যে আবার ৩ হাজার ২৮১টি সংস্থা চালু আছে। বাকিগুলির ঝাঁপ বন্ধ।
অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকারি তথ্যই বলছে, দেশের বেসরকারি মহল কিন্তু মোদি সরকারের উপর বিপুল আস্থা দেখাচ্ছে, এমনটা নয়। বিজেপি সহ অন্য বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তোলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় শিল্পের দশা নাকি করুণ। বাস্তব পরিস্থিতি কী? কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক বলছে, দেশজুড়ে ৩৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে যত সচল কোম্পানি আছে, তার সবচেয়ে বেশি ভাগীদার মহারাষ্ট্র। দেশের ১৯ শতাংশ সংস্থা রয়েছে মারাঠাভূমেই। এরপর দিল্লি। সেখানে সচল কোম্পানির অংশীদারিত্ব রয়েছে ১৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ। দেশের সচল সংস্থার আট শতাংশ বাংলার দখলে। পাশাপাশি আট শতাংশ রয়েছে যোগীরাজ্যের হাতেও। পশ্চিমবঙ্গের সচল কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক জানাচ্ছে, শুধুমাত্র গত জানুয়ারি মাসেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ৮০৮টি সংস্থা ব্যবসা চালু করেছে। গোটা দেশে সংখ্যাটা ১৬ হাজার ৭৮১টি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই যাবতীয় তথ্যের মধ্যে কিন্তু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বা এমএসএমই অন্তর্ভুক্ত নয়!
শিল্পমহল বলছে, আর্থ-সামাজিক কারণেই বহু সংস্থা ব্যবসা হারাচ্ছে। সেই কারণেই তাদের একটা বড় অংশ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারছে না। বহু সংস্থা বছরের পর বছর তাদের বার্ষিক আর্থিক হিসেব পেশ করতে পারছে না সরকারের কাছে। ফলে সেগুলি ‘ডরম্যান্ট’ কোম্পানি হয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বন্ধ হওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে বিস্তর কাগুজে কোম্পানিও আছে। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায়ের কথায়, ‘কাগুজে সংস্থার রমরমা বেড়ে যাওয়াটা সুষ্ঠু অর্থনীতির পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কোন সংস্থা সুষ্ঠুভাবে চলছে এবং কোন কোম্পানি শুধুমাত্র নামেই খুলে রাখা হয়েছে—তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। আমাদের আর্জি, সরকার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিক। না হলে অকেজো সংস্থার সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।’