সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
জানা গিয়েছে, তনু গুর্জর নামে ওই তরুণী পরিবারের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে সাফ অস্বীকার করেন। বরং তিনি জানান বিয়ে করতে চান নিজের প্রেমিককেই। আর এতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন পরিবারের বাকি সদস্যরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিয়ে নিয়ে ওই পরিবারে অশান্তি চরমে ওঠে। তনুর বিয়ে ঠিক করা হলেও স্পষ্টভাবে বাবাকে তনু জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করবে না। বিয়ে করবেন নিজের পছন্দের পাত্রকেই। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন তনু। জানান, “বাবা আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি।” এই ভিডিওটি ব্যাপক শেয়ার হতেই তাঁর বাড়ি পৌঁছায় পুলিস। তখন বাড়িতে আলোচনায় বসেছিল পঞ্চায়েতের সদস্যরা। পুলিসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে তনু জানান, বাড়িতে থাকলে বা অন্য কোনও আত্মীয়র বাড়ি থাকলেও তাঁকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিসের কাছে আর্জিও জানান তনু।
সে সময় পরিবারের তরফে মেয়ের বাবা ও খুড়তুতো দাদা পুলিসকে বলেন, মেয়েকে বোঝাতে কিছুটা সময় দেওয়া হোক। সেই মতোই তনুকে পাশের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এরপরই কানে আসে দুটি গুলির শব্দ। বাবা ও খুড়তুতো দাদা গুলি করে খুন করে তনুকে। পুলিস ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতেই গুলি করে খুন করা হয় ওই তরুণীকে।
গুলির শব্দে পুলিস দ্রুত সেই ঘরে পৌঁছে অভিযুক্ত বাবা মহেশ গুর্জরকে গ্রেপ্তার করলেও, পালিয়ে যায় অপর অভিযুক্ত দাদা রাহুল।
ঘটনায় পুলিশ সুপার ধরমবীর সিং যাদব জানান, অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। অপর একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।