সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
ইতিহাস বলছে, শাহি স্নান বা পেশোয়াই নামকরণ হয়েছিল মারাঠা পেশোয়ার হাত ধরে। সেই সময়ে সাধু সন্তদের সঙ্গে পুণ্যস্নানে অংশ নিতেন রাজা, মহারাজারাও। সেই থেকেই শাহি স্নানের জন্ম। মহাকুম্ভের স্নানকে বলা হতো রাজশাহি স্নান। সেই শাহি স্নান হয়েছে এখন অমৃত স্নান। আর পেশোয়াই হয়েছে চাবনী প্রবেশ।
মোদি সরকারের আমলে প্রকল্পের নাম বদলায়। মুছে যায় গান্ধী জমানার পরিচয়। উত্তরপ্রদেশে যোগীও পিছিয়ে নেই! তাঁর হাত ধরে বদলায় স্টেশন, জনপদের নাম। যেমন মুঘলসরাই স্টেশন এখন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ, আর ফৈজাবাদের নাম অযোধ্যা। কিন্তু সেই সবই রাজনীতির কারণে। এটা তো ধর্ম! মানুষের চিরন্তন আস্থা, বিশ্বাসের জায়গা। শাহি স্নান বা পেশোয়াইয়ের মতো চিরাচরিত রীতির নাম কেন বদলে ফেলা হবে? তাহলে কি রাজনীতির ছায়া কুম্ভেও?
প্রশ্নটি শোনামাত্রই উড়িয়ে দিলেন মোহন্ত রবীন্দ্র পুরী। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি জানালেন, অকারণে এই বদল নয়। কারণ আছে। তবে তা রাজনৈতিক নয়। এর মধ্যেও মিশে রয়েছে ইতিহাস, ধর্ম, বিশ্বাস। আর কিন্তু কী সেই কারণ? মোহন্ত রবীন্দ্র পুরী হরিদ্বারের মনসা দেবী টেম্পল ট্রাস্টেরও সভাপতি। তিনিই স্পষ্ট করলেন, ‘আমরা যখন কথা বলি, কথায় কথায় হিন্দির সঙ্গে উর্দুও থাকে। আমরা কোনও উর্দু শব্দ বলব না, এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যখন বিষয়টি আমাদের ধর্মের, তখন আমাদের উচিত সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার থেকে বা কোনও সনাতনী নাম দেওয়া। এর পিছনে হিন্দু বনাম মুসলিমের কোনও ব্যাপার নেই।’
শুধু এটুকুই? ইন্দ্র গিরি মহারাজ জানালেন, ‘অযোধ্যায় রাম মন্দির, রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম কুম্ভ। সেই কারণে সনাতনী ভাবধারায় আরও বেশি জোর দেওয়া উচিত আমাদের। ধর্ম রক্ষার ভার যাঁদের কাঁধে, তাঁরা যদি এমন উদ্যোগ না নেন, কে নেবেন?’
এবারের পূর্ণকুম্ভ পর্বে সঙ্ঘ পরিবারের সব সদস্যের উপস্থিতিতে হতে পারে ধর্ম সম্মেলন। তার আগে নিজের জায়গা মজবুত করতে কোনও কসুর ছাড়ছেন না যোগী। প্রথম অমৃত স্নান কি সেপথেই আরও একধাপ? রাজনীতির কারবারিরা এনিয়ে কিছু না বললেও খুশি একাধিক আখড়া। তাদের আশীর্বাদ গোরক্ষনাথ মঠের মঠাধীশ মোহন্তের উপর বর্ষায় কি না, সেটাই দেখার।