সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এগচ্ছে প্রয়াগ। এগচ্ছে পূর্ণকুম্ভ। এগচ্ছে সনাতন ধর্মও। অযোধ্যা যাওয়ার টিকিটের চাহিদা ছিলই। তা আরও বেড়েছে অক্ষয়বট ও লেটে হনুমান মন্দির বন্ধ থাকায়। প্রয়াগসঙ্গমে শাহি স্নান সেরে, রাম-লক্ষ্মণ-সীতার অক্ষয়বট দেখতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল নয়ডার তরুণ দম্পতি প্রীতি ও সুনীলের। কিন্তু ভিড়ের জন্য সোমবার থেকেই এলাহাবাদ ফোর্ট বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। খোলা ছিল বড়া হনুমানের মন্দির। দুপুরবেলা সেখানেও ছিল অন্তত হাজার দশেক লোকের লাইন। একঝলক দর্শনে সময় লাগছে তিন ঘণ্টা। মঙ্গলবার সাধুদের স্নান দেখে, নিজেরা স্নান সেরে বড়া হনুমানের মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথেই মাইকে পুলিসের ঘোষণা শুনতে পেলেন তাঁরা, ‘মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে, যাত্রীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আজ মন্দির বন্ধ রাখা হল।’ তারপরেই অযোধ্যা যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
মেলা প্রাঙ্গণে চোখ-কান খোলা রাখলেই শোনা যাচ্ছে শাহি স্নানের সঙ্গে রামলালা দর্শনের আলোচনা। যেন পুরোদস্তুর প্যাকেজ। ট্রেনের টিকিট না পেলেও হবে। বাস তো আছে! না হলে গাড়ি ভাড়া। সরকারি বাসের ভাড়া নির্দিষ্ট থাকলেও বেসরকারি বাস কিছুটা চড়েছে। তবে বেশি লাফ দিয়েছে গাড়ি ভাড়া। ১৭০ কিমি দূরত্বে সাধারণত গাড়ি ভাড়া পড়ে ৩-৪ হাজার টাকা। এখনই সেটাই বেড়ে হয়েছে ১০-১৫ হাজার টাকা। অনেক দরদস্তুর করে অযোধ্যা যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি বুক করলেন ইতালির বেঞ্জামিন। একটু বেশি ভাড়া পড়ল না? শুনে পাশে দাঁড়ানো এক ট্যাক্সিচালক রসিকতার ঢঙে বললেন, ‘সঙ্গমে শাহি স্নান সেরে রামলালা দর্শনে পুণ্য দ্বিগুণ হবে। তাহলে আমাদের লক্ষ্মীলাভে দোষ কোথায়!’ মিডিয়া সেন্টারে বসা উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক কর্তাকে বিষয়টি বলতেই দেখা গেল খবর তাঁর কাছেও রয়েছে। জানালেন, সাধারণত শাহি স্নানের পর বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির পথ ধরেন। কিন্তু এবার ব্যাপারটা আলাদা। বর্ষশেষের মরশুমেই অযোধ্যায় প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। আর দেড় মাসের এই কুম্ভমেলা পর্বে প্রায় ৩ কোটি মানুষ রামলালা দর্শনে যাবেন বলে অনুমান। অযোধ্যায় প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সারা। হোটেলে এত মানুষের জায়গা হবে না। সেই জন্য আগত দর্শনার্থীদের জন্য করা হয়েছে তাঁবুর ব্যবস্থা। ‘তাতে কুলোবে?’ প্রশ্ন শুনে হাসলেন আধিকারিক, ‘রামলালা আছেন, ভক্তদের ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে।’