সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
যদিও পুরনো বাড়ি ২৪ আকবর রোড ছাড়বে না কংগ্রেস। এ ব্যাপারে তারা উদাহরণ টেনেছে বিজেপির। ৬-এ দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে নতুন অফিস হওয়ার পরেও বিজেপিও দখলে রেখেছে ১১ অশোকা রোডের পুরনো বাড়ি। তাই কংগ্রেসও তার ৪৭ বছরের পুরনো ঠিকানা গুটিয়ে নেবে না। আজ নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ২০০৯ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছিলেন তিনিই। ২০১৬ থেকে শুরু হয়েছিল নির্মাণকার্য। আজ উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। দলের সব সাংসদ, এআইসিসির রাজ্য ইনচার্জ, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের শীর্ষস্তরের নেতানেত্রীদের নির্দিষ্ট কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিমন্ত্রণপত্র ছাড়া প্রবেশ মানা। এমনকী সাংবাদিকদেরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নো এন্ট্রি।’ স্রেফ আজই নয়। আকবর রোডের ঠিকানায় সাংবাদিক হোক বা দলীয় কর্মী— সকলের ছিল অবারিত দ্বার। নতুন ভবনে তা বদলে যাচ্ছে।
ছ’তলার সবচেয়ে উপরে মধ্যিখানে কংগ্রেস সভাপতির ঘর। তার ডানদিকে সোনিয়া, বাঁয়ে রাহুল গান্ধীর রুম। পাঁচতলায় এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকদের অফিস ঘর। চারতলায় কংগ্রেসের বিভিন্ন রাজ্যের ইনচার্জদের দপ্তর। তিনতলায় এআইসিসি সম্পাদকদের বসার ব্যবস্থা। দোতলায় সংখ্যালঘু, আইন ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিস। নীচে একতলায় মিডিয়ার বসার ব্যবস্থা। ক্যান্টিন, প্রেক্ষাগৃহ।
শেষমেশ কি তবে কংগ্রেসও কর্পোরেট কালচারের রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে চলল? দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে এই গুঞ্জন। নতুন ভবনের এই ব্যবস্থায় দলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। এলাহাবাদের আনন্দ ভবন ছিল কংগ্রেসের প্রথম সদর দপ্তর। পরে দিল্লিতে ৭ যন্তরমন্তর রোড। বর্তমানে যা নীতীশকুমারের দল জেডিইউয়ের অফিস। যন্তরমন্তর থেকে ঠিকানা হয়েছিল ৯ জনপথ রোড। কংগ্রেস নেতা কমলাপতি ত্রিপাঠির বাড়ি। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে দলের অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন সাংসদ গদ্দাম বেঙ্কটস্বামীর বাংলো ২৪ আকবর রোডই হয়ে ওঠে কংগ্রেস সদর দপ্তর। ৪৭ বছর পর বাড়ি বদলাচ্ছে কংগ্রেস। বদলাচ্ছে খোলা হাওয়াও! - নিজস্ব চিত্র