উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
একক বৃহত্তম দল হিসেবে ১৩২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তাই তাঁদের পাল্লাই ভারী। দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের একাংশ। অন্যদিকে, দাবি ছাড়তে নারাজ সিন্ধে শিবিরও। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে ফের একবার কুর্সিতে দেখতে চাইছেন সিন্ধেপন্থীরা। যদিও মহাযুতির নেতারা প্রকাশ্যে বারবার বলছেন, মুখমন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ফড়নবিশ যেমন বলেছেন, ‘কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রথম দিন থেকেই ঠিক হয়ে আছে যে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তিন দলের নেতারা একসঙ্গে বসে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন।’
মহাযুতির অন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যে সমস্যা নেই, তা বোঝানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের বাসভবনে যান দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ার। একসঙ্গে বসে তাঁরা একে অপরকে অভিনন্দন জানান। তবে তাঁরা যে চেয়ারে বসেছিলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সিন্ধে ও ফড়নবিশকে একই ধরনের হাইব্যাক চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে, অজিত ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে তুলনামূলক ছোট চেয়ারে বসেছিলেন।
মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। ২০১৯ সালে এই পদ নিয়ে উদ্ধব থ্যাকারে ও তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। যার জেরে অবিভক্ত শিবসেনা এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসে। কংগ্রেস, অবিভক্ত এনসিপি এবং অবিভক্ত শিবসেনা মিলে তৈরি হয় মহাবিকাশ আঘাড়ি। ফড়নবিশকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। কিন্তু ২০২২ সালে ফের পটপরিবর্তন! এবার অবিভক্ত শিবসেনার বিধায়কদের বড় অংশকে নিয়ে আলাদা দল গঠন করেন সিন্ধে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। পরে অবিভক্ত এনসিপি থেকে বেরিয়ে এসে শাসক জোটে যোগ দেন অজিত পাওয়ারও। ফড়নবিশ ও অজিত এতদিন উপ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, বেশি আসন থাকা সত্ত্বেও সিন্ধেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার একক বৃহত্তম দল হওয়ার পর তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।