উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
বছর দুই আগে (২০২২ সালে) কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের সময় শারদ পাওয়ারকে ‘অফার’ দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের শীর্ষ মহল থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আপনার দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবং কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে লড়ুন। সমর্থন দেবে গান্ধী পরিবার। কিন্তু তা মানেননি শারদ পাওয়ার। তবে ১৯৯৯ সালের তাঁর হাতে গড়া দল ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে। দলের প্রতিষ্ঠতা হয়েও মালিকানা হারিয়েছেন। এবার বিধানসভা ভোটে ভাইপোর এনসিপির প্রার্থীর কাছে কাকার এনসিপি হেরেছে ২৯ আসনে।
বারামতী আসনটি ‘পাওয়ার পরিবারের’ বলেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। লোকসভায় ওই আসনে সুপ্রিয়া সুলে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাকে হারিয়েছিলেন। বিধানসভায় তার প্রতিশোধ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার। শারদ পাওয়ারের এনসিপির প্রার্থী তথা ভাইপো যুগেন্দ্রকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন। দুই এনসিপির লড়াইয়ে মহারাষ্ট্র দেখল চমক! শারদ পাওয়ারের এনসিপি মানুষের সমর্থন বেশি পেয়েছে। পাওয়ারের দল পেয়েছে মোট ভোটদানের ১১.২৮ শতাংশ। আসন মাত্র ১০। আর অজিতের এনসিপির ভোট প্রাপ্তির হার ৯.০১ শতাংশ। কিন্তু আসন ৪১।
পাওয়ার পরিবারের ডায়রেক্ট লড়াইয়ের পাশাপাশি এনসিপি বনাম এনসিপির লড়াইয়ে আহেরি কেন্দ্রে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাবা-মেয়ে। জিতেছেন অজিতের এনসিপির প্রার্থী বাবা ধর্মারাও আতরাম। হেরেছেন মেয়ে ভাগ্যশ্রী। ইভলা কেন্দ্রে অজিতের প্রার্থী ছগন ভুজবল হারিয়েছেন পাওয়ারের মানিকরাও সিন্ধেকে। একইভাবে অনুশক্তিনগরে এনসপির প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নবাব মালিকের কন্যা সানা হারিয়েছেন পাওয়ারের এনসিপির প্রার্থী তথা অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের স্বামী ফাওয়াদ আহমেদকে। ভোটের আগে ফাওয়াদ সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে পাওয়ারের প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। এভাবে একের পর এক আসনে দুই এনসিপির মুখোমুখি লড়াইয়ে অজিত হয়ে উঠলেন ‘পাওয়ারফুল।’ আর পাওয়ার কমল শারদ পাওয়ারের। এনডিএ বিরোধী এমভিএ জোটের এমনই হাল হল যে এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কেউ বিরোধী দলনেতার পদই পাবেন না। একইভাবে আগামী দিনে
রাজ্যসভায় আসার পথও আটকে গেল কংগ্রেস, শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনার। কারণ ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে তাদের ঝুলিতে যে জুটেছে মোটে ১৬, ১০ এবং ২০ আসন।