লখনউ: মুঘল জমানার মসজিদে সমীক্ষা ঘিরে ধুন্ধুমার যোগীরাজ্যে। জনতা-পুলিস সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ১৫ জন পুলিসকর্মী। হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৮ জনকে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় রয়েছে শাহি জামা মসজিদ। হিন্দু মন্দির ভেঙে মুঘল আমলে এই মসজিদ তৈরি হয় বলে দাবি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে রবিবার সমীক্ষার জন্য হাজির হয় প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিস বাহিনীও। তারা মসজিদে পৌঁছতেই সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। হঠাৎই পরিস্থিতি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। অভিযোগ, প্রথমে পুলিস ও সমীক্ষক দলের উপর পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত স্থানীয়রা। গুলিও চালানো হয় বলেও দাবি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। লাঠি চার্জও করা হয়। এই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেও তাঁদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনেনি প্রশাসন। জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মোরাদাবাদের ডিভিশনাল কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিং জানিয়েছেন, দুই মহিলা সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলারা বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ছুড়ছিলেন বলে তাঁর দাবি।
এদিকে, এই হিংসার ঘটনায় বিজেপি, রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা উপ নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। সেই অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই সম্বলের ওই মসজিদে সমীক্ষার পরিকল্পনা করেছিল প্রশাসন।
এদিন মোরাদাবাদের ডিভিশনাল কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিংয়ের দাবি, সমীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তিন দিক থেকে পাথর ছোড়া শুরু হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস কাঁদানে গ্যাস ও প্লাস্টিক বুলেট ছোড়ে। হামলাকারীদের অন্য একটি দল একাধিক গাড়িতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি গুলিও চালায়। তাতে একজন পুলিস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ডেপুটি কালেক্টর, সার্কেল অফিসার, ১৫ জন পুলিস কর্মীও।