শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
চার বছর আগে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাতারাতি সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছিল হাতরাস। সেবার দিল্লির হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর রাতারাতি দেহ সৎকার করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সেখানে এক সৎসঙ্গে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেই জেলাতেই এবার ‘নরবলি’র ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, নিহত দ্বিতীয় শ্রেণির ওই শিশুটির নাম কৃতার্থ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট যে, শ্বাসরোধ করেই তাকে খুন করা হয়েছে। স্কুলের মালিক যশোধন সিং। তাঁর পুত্র দীনেশ বাঘেল ডিরেক্টর। যশোধন ছেলেকে জানিয়ে ছিলেন, পরিবার ও স্কুলের ‘সমৃদ্ধি’ ফেরাতে একটি শিশুকে বলি দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্রে সাহায্য করেন প্রিন্সিপাল লক্ষ্মণ সিং ও দুই শিক্ষক রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি, বীরপাল সিং। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১) ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাতরাসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (এএসপি) অশোক কুমার সিং বলেন, স্কুলের হস্টেলে থাকত কৃতার্থ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সেখান থেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে তুলে আনেন শিক্ষক রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি, ডিরেক্টর দীনেশ বাঘেল ও মালিক যশোধন সিং। বলি দেওয়ার জন্য শিশুটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন প্রিন্সিপাল লক্ষ্মণ সিং ও অপর শিক্ষক বীরপাল সিং। ঠিক সেই সময় ঘুম ভেঙে যাওয়ায় কান্নাকাটি শুরু করে শিশুটি। তখনই তাকে খুন করা হয়। এরপর কৃতার্থের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযুক্তরা। বলা হয়, ‘আপনাদের ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে স্কুলের ডিরেক্টর বাঘেলের গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ পরিবারের সদস্যরা মাঝপথেই গাড়ি থামিয়ে দেখেন, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা পুলিসে খবর দেন। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পুলিসের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্তরা। জানিয়েছেন, স্কুল ও মালিকের পরিবারের ‘সমৃদ্ধি’র লক্ষ্যে ‘বলি’ দেওয়া হয়েছে ওই শিশুকে।