শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মর্যাদাকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে যেমন কোনও সংসদীয় কমিটিরই সদস্য করা হয়নি। কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নামও নেই। তিনি কোনও কমিটিতেই থাকতে চান না। তাই দলও সংসদের রাজ্যসভার সচিবালয়ে তাঁর নাম পাঠায়নি। উল্লেখ্য, কোনও মন্ত্রীই সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন না। তাঁরা হন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন।
তাহলে একই পদ মর্যাদার রাহুলকে কেন কমিটির সাধারণ সদস্য করা হল, রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে কি ‘কৌশলে’ রাহুলের সমালোচনার পরিকল্পনাই বিজেপির? উঠছে প্রশ্ন। বৈঠকে না এলে বিজেপি রাহুলের নিন্দা করার সুযোগ পেয়ে যাবে। আবার এলে, তাঁর বিরোধী দলনেতার পদ মর্যাদাকেও যে ছোট করে দেখানো যায়, প্রমাণ করে দেবে। ফলে দেখার, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির রাধামোহন সিং বৈঠক ডাকলে কী করেন রাহুল?
লোকসভা-রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে মোট ২৪টি সংসদীয় কমিটির মধ্যে মাত্র দুটির চেয়ারপার্সন মহিলা। একটি বাণিজ্য সংক্রান্ত। যার চেয়ারপার্সন তৃণমূলের দোলা সেন। অন্যটি খাদ্য ও গণবণ্টন সংক্রান্ত। চেয়ারপার্সন ডিএমকে’র কানিমোঝি করুণানিধি। বিজেপি তার কোনও মহিলা সাংসদকেই কোনও কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেয়নি। অথচ তারা পেয়েছে ১১টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ। এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কটাক্ষ, সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘোষণা হল ঠিকই। তবে তৃণমূল আর ডিএমকেই মহিলাদের এগিয়ে রেখেছে। বাকিদের তো স্রেফ মুখেই বড় বড় কথা।
তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপির নিশিকান্ত দুবেকে। এই কমিটিরই সদস্য মহুয়া মৈত্র। অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার ‘অপরাধে’ নিশিকান্তর অভিযোগের ভিত্তিতেই সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল মহুয়াকে। এখন সেই নিশিকান্তর কমিটিতেই তিনি। ফলে এই কমিটির বৈঠক অধিকাংশ সময়ই উত্তপ্ত থাকবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন বিদেশ সংক্রান্ত কমিটিতে।