গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
এখানকার আর পাঁচজনের মতো এতদিন ‘রাজনীতি বয়কট’ নীতিকেই আঁকড়ে ছিলেন কুলগাওঁয়ের বুগাম গ্রামের বাসিন্দা নিশার আহমেদ শেখ। এবারই মতাধিকার প্রয়োগ করে তিনি বলেছেন,‘অতীতে ভোট বয়কট করে কারও কোনও লাভ হয়নি। বরং, ভোটাধিকারকে অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করতে পারলেই সুরাহা মিলবে।’ আর তাই এবার এলাকার মানুষ বুথমুখী হয়েছেন। ধৈর্য্য ধরে দীর্ঘক্ষণ ভোটের লাইনে অপেক্ষা করলেন তাঁরা। বুগামেরই অপর বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানালেন, ‘এবারের ভোট পরিবর্তনের জন্যই। ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আগামী দিনে বিভিন্ন দাবি পূরণের ক্ষেত্রে যাকে হাতের কাছে পাওয়া যাবে, এমন ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেবো।’ এই গ্রামের রিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘ভয়ের জীবন নয়, আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চাই।’ বুগামের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম পানিওয়াইচ, ফ্রিসাল, কাইমো এবং রেগওয়ানি। এগুলি একসময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। এখানে ভোটের হার যৎসামান্য হওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু, এদিন এসব জায়গাতেই ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। শেষ চারবার এই কুলগাঁও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন সিপিএমের এম ওয়াই তারিগামী। এই কেন্দ্রে এবার তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামাত-ই-ইসলামি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সায়ার আহমেদ রেশি।