আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘মনরেগা হোক কিংবা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। অথবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প। কেন্দ্র শুধুমাত্র অনুমোদন দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে। অর্থ দিচ্ছে না। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণের মতো একাধিক খাতে রাজ্যের এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই বকেয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকার মেটানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিক।’ চন্দ্রিমাদেবীর অভিযোগ, ২০২১ সালে মনরেগায় প্রায় ৫৯ লক্ষ মানুষ রাজ্যে কাজ করেছেন। অথচ তাঁদের মজুরির টাকা রাজ্যকেই দিতে হয়েছে। আবাস যোজনাতেও প্রায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থই বরাদ্দ হয়নি। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, ‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনেও রাজ্যের প্রায় সাড়ে আটশো কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পাওনা রয়েছে। মূলধনী বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রকে কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছি আমি।’ রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি, অডিট সার্টিফিকেট রাজ্য দেয়নি বলে দীর্ঘদিন বিতর্ক তৈরি করেছে কেন্দ্র, অথচ তারাই মেনে নিয়েছে যে, রাজ্য তা জমা দিয়েছে। এদিন প্রাক-বাজেট বৈঠকের পাশাপাশিই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানেও হাজির ছিলেন চন্দ্রিমাদেবী। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের পর আগামী আগস্ট মাসে ফের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হবে। শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ‘কিছু কিছু পণ্যের উপর সমহারে জিএসটি যুক্ত করার ব্যাপারে কাউন্সিল সুপারিশ করেছে। সেই তালিকা আগামী দিনে তৈরি হবে। আধার এবং প্যানের অথেনটিকেশনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপর থেকে কীভাবে করের বোঝা কমানো যায়, তা নিয়েও চর্চা হয়েছে।’