আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়। তা উদযাপন করতে বৃহস্পতিবার রাতেই কেজরিওয়ালের সিভিল লাইন্সের বাড়িতে পৌঁছন পার্টিকর্মীরা। ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলে উচ্ছ্বাস। মনে করা হয়েছিল, শুক্রবার সকালেই জামিনে তিহার থেকে বেরিয়ে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো কেজরিওয়ালের বাড়িতে এবং দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে আপের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উদযাপনের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এদিন সকালেই দিল্লি হাইকোর্টে আপিল করে ইডি। কেজরিওয়ালের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
শেষ পর্যন্ত শুক্রবার জামিনে মুক্তি পাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আপ নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসের প্রস্তুতি এদিন মুহূর্তেই পাল্টে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগে সরব হয়েছে আপ। দলের দাবি, নিম্ন আদালতের জামিন সংক্রান্ত রায়ের কপি আপলোড হওয়ার আগেই হাইকোর্টে চলে গিয়েছে ইডি। অরবিন্দ-পত্নী সুনীতা কেজরিওয়াল বলেন, ‘কেজরিওয়ালজির সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে যেন, তিনি একজন মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট। এরা স্বৈরতন্ত্রের যাবতীয় সীমারেখা পেরিয়ে গিয়েছে। বিরোধিতা করলেই স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। মানুষ জবাব দেবে।’ আপ এমপি সঞ্জয় সিংয়ের অভিযোগ, ‘নিম্ন আদালতের রায় আদতে বিজেপির ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ করে দিত। তাই জামিনে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে দৌড়তে হয়েছে ইডিকে।’ বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছিল, ‘সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জড়িত থাকার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ইডি।’ এরপরেও কীভাবে জেলে আটকে থাকেন কেজরিওয়াল? প্রশ্ন তুলেছে আপ। বিজেপি দাবি করেছে, আইন মেনেই সব হচ্ছে।