আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যদি পেপার সিগন্যাল কার্যকর না হয়, তবে কোনও রেলওয়ে শাখায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা খারাপ হয়ে গেলে বিকল্প কোন উপায়ের বন্দোবস্ত করা হবে? যার ফলে সংশ্লিষ্ট অংশে সচল থাকবে রেলওয়ে ট্র্যাফিক? আপাতত এ প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন রেলমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। বিকল্প নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেই রেলের আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই টি/এ-৯১২ ফর্ম বাতিল নিয়ে রেলওয়ে জোন এবং শাখাগুলির মতামত জানতে চেয়েছে মন্ত্রক। সরকারি সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে টি/এ-৯১২ এর পরিবর্তে শুধুই টি/ডি-৯১২ ফর্ম ব্যবহারের কথাও ভাবা হচ্ছে। কারণ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো থাকলে যদি লিখিত অনুমতি নিয়ে ট্রেন চালাতে হয়, তাহলে ট্রেনের গতি নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে হয় চালক এবং সহ-চালককে। ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
রেলকর্তাদের ব্যাখ্যা, টি/এ-৯১২ ফর্মে এই গতির উল্লেখ থাকেই না। বরং টি/ডি-৯১২ তে এর উল্লেখ থাকে। ফলে সুরক্ষার দিক থেকে টি/ডি ফর্মটি অনেক বেশি শক্তিশালী। যদিও লিখিত অনুমতি ছাড়া এক্ষেত্রে অন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চালাচ্ছে রেল বোর্ড। মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবারের দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণে হিসেবে সংশ্লিষ্ট মালগাড়ির গতিকেই দায়ী করা হয়েছে। কমিশনার্স অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকে জানিয়েছে বলে খবর। রেল সূত্র জানাচ্ছে, কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ওই মালগাড়ি নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি গতিতে ছিল। প্রসঙ্গত, মালগাড়ির চালককে রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার টি/এ-৯১২ দিয়েছিলেন। সেখানে নির্ধারিত সীমার কোনও উল্লেখ ছিল না। ফলে রেলের ফাঁক থেকেই যাচ্ছে।