বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
তালিবানকে জঙ্গি সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও পুতিন ও অন্যান্য রুশ আধিকারিকরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকতে চাইছেন। উত্তর আফগানিস্তানে আইএস ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলি যে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা মেনে নিয়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি রুশ আধিকারিকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মাদক পাচার এখনও জারি রয়েছে। এই বিপদ রোখাও বড় চ্যালেঞ্জ। গত সপ্তাহের বৈঠকে পুতিন বলেন, সন্দেহাতীতভাবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এখন তালিবানের হাতে। আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা, আফগানিস্তানের পরিস্থিতিকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাবে তারা। রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে তালিবান। রবিবার এবিষয়ে বিবৃতি দেন অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বকসি। তাঁর বক্তব্য, আফগানিস্তানের নেতাদের নাম কালো তালিকা থেকে সরানো নিয়ে রশিয়ার প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান হয়েছে। তাই, আফগানিস্তানের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসা উচিত আন্তর্জাতিক মহলের।
তালিবানকে পুতিন জঙ্গি সংগঠনের তালিকা থেকে সরানোর পক্ষে সওয়াল করলেও মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে আফগানিস্তানের পরিস্থিতিতে বদলের কোনও ইঙ্গিত নেই। তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মেয়েদের জন্য স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা কার্যত বন্ধই রয়েছে। এই অবস্থায় বহু আফগান ছাত্রী ভোকেশনাল সেন্টারগুলিতে ভিড় করতে শুরু করেছেন। সেলাই ও বিউটিশিয়ানের মতো পেশাদারি কোর্সের দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা। সামিরা শরিফ নামে এক ছাত্রী বলেন, কয়েকমাস হয়ে গেল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আমাদের জন্য বন্ধ। আমরা এইভাবে বাড়িতে বসে থাকতে পারি না। আমাদের পেশাদারি শিক্ষা প্রয়োজন। মাহনাজ গুলামি নামে এক ছাত্রীর কথায়, ভবিষ্যতে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাই পেশিদারি কোর্সে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল। আমরা চাই স্কুল খুলুক। যাতে আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে না পড়ে।