বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
বিরোধীরা বারংবার যে কথা বলে এসেছে পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে, সেই একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গেল ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতের মুখে। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাওর গিলোন বলেছেন, পেগাসাস স্পাই ওয়্যার যে সংস্থা তৈরি করে সেই ইজরায়েলের এনএসও কোম্পানি একমাত্র বিদেশি রাষ্ট্রের সরকারকেই এই প্রযুক্তি প্রদান করে। এই প্রযুক্তি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করা যায় না। কারণ, ইজরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে ওই এনএসও সংস্থকে যে রপ্তানি লাইসেন্স প্রদান করা হয়, সেটার ভিত্তিই হল তাই। শুধুমাত্র কোনও দেশের সরকারকেই দেওয়া যাবে ওই স্পাই সফটঅয়ার। ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ভারতে পেগাসাস নিয়ে কী ঘটছে কিংবা কী চাপানউতোর চলছে, সেটা নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়। কারণ, সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেটা নিয়ে অন্য রাষ্ট্র কোনও অবস্থান নিতে পারে না। মন্তব্য করাও উচিত নয়। আমরা শুধু এটাই বলতে পারি যে, পেগাসাস সংস্থা একমাত্র তখনই ওই প্রযুক্তি বিদেশে পাঠানোর অনুমতি পায়, যখন সেই দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়। সেটা না হলে, ইজরায়েল সরকার কোনওভাবেই লাইসেন্স ইস্যু করে না।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত তাদের দেশেরই সরকারি মুখপাত্র। কূটনীতিতে এটাই রীতি। সুতরাং রাষ্ট্রদূতের কোনও একটি মন্তব্যকে বিবেচনা করা হয় সেই দেশেরই সরকারি অবস্থান হিসেবে। স্বাভাকিভাবেই এই কথা বারংবার বিরোধীরা উত্থাপন করেছে। সরকারকে প্রশ্ন করা হয়েছে তারা কি পেগাসাস প্রযুক্তিকে ভারতে ব্যবহারের জন্য কোনও সমঝোতা কিংবা চুক্তি করেছে? সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর সরকারিভাবে দেওয়াই হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটিকে ঠিক এই দায়িত্বগুলিই দেওয়া হয়েছে যে, কীভাবে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাজ করছে এবং অভিযোগগুলি সত্যি কি না সেটা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে। বস্তুত তাতেই আবার ঘনিয়ে উঠছে পেগাসাস রহস্য!