নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যে একজন রেশন গ্রাহকও যাতে বঞ্চিত না-হন তার জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগী হল রাজ্য খাদ্যদপ্তর। সম্প্রতি খাদ্যশ্রী ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, কোনও গ্রাহক বিশেষ কারণবশত খাদ্য না পেলে বিষয়টি রেশন ডিলার দপ্তরের নজরে আনবেন। প্রতিমাসে তাঁকে এনিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। গ্রাহকের বঞ্চনার বিষয়টি কারণসহ উল্লেখ করতে হবে তাতে। এমনকী মাসের মধ্যে এরকম পরিস্থিতি তৈরি না-হলে দিতে হবে ‘নিল’ রিপোর্ট। ডিলারদের এই ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইনসপেক্টরদের। খাদ্য ভবনের নির্দেশ, কোনও গ্রাহক খাদ্য না পেলে তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের আধিকারিকদের বলা হয়েছে, সমস্যা যাই থাক, খাদ্য থেকে কাউকেই বঞ্চনা করা চলবে না।
এখন রেশন দোকানে ই-পস যন্ত্রে গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে খাদ্য দেওয়া হয়। ডিলার সংগঠনের অভিযোগ, বেশি বয়স কিংবা শারীরিক সমস্যার কারণে আধার যাচাই অনেকসময় সম্ভব হয় না। আবার যাচাই ছাড়াই খাদ্য দেওয়া হলে শো-কজের মুখে পড়েন ডিলাররা। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, শাস্তির ভয়েই যাচাই ছাড়া খাদ্য দিতে স্বভাবতই দ্বিধা থাকে। বিষয়টি ডিলাররা দপ্তরের নজরে আনেন। যে নির্দেশ এসেছে, এরপর সমস্যা কতটা দূর হয় সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে খাদ্যদপ্তর সূত্রে বলা হচ্ছে, রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আধার যাচাই তার মধ্যে একটি। আঙুল ছাপের দুটি বিকল্পও রয়েছে—গ্রাহকের চোখের মণি স্ক্যান এবং আধারে যুক্ত মোবাইল নম্বর। ফলে আধার যাচাই অসম্ভব নয় এবং বিশেষ সমস্যা হচ্ছেও না। রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে আধার যাচাই সম্ভব হচ্ছে ৯৯.৯৮ শতাংশ। এটা ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই দপ্তরের লক্ষ্য।