নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
একদা তৃণমূলের ‘ওজনদার’ নেতাদের মধ্যে সর্বাগ্রে আসত পার্থর নাম। দলের মহাসচিব ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ। তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। এরপর শিল্পমন্ত্রী এবং দলের মহাসচিব সহ সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দল জানিয়ে দেয়, আইনি পথে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ফিরতে হবে পার্থকে। কিন্তু দু’বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও জেলমুক্তি ঘটেনি তাঁর। আইনি লড়াই চলছে। এখানেই সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে পার্থর এক সময়ের সতীর্থরা বলছেন, তাঁর পক্ষে আর কোনও সরকারি পদ পাওয়া সম্ভব নয়। গত সপ্তাহে বিধানসভা অধিবেশনের ফাঁকে ঘরোয়া আড্ডায় তৃণমূলের এক নেতা জানান, সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে স্পষ্ট বলা আছে, যতদিন মামলার ট্রায়াল চলবে, ততদিন তিনি কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ‘১৮-জে’ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে বিষয়টি। তৃণমূলের কয়েকজন বিধায়কের ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মন্ত্রী কিংবা বিধানসভার কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বা সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান হতে পারবেন না পার্থ। গ্রেপ্তারির পর থেকে বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর এখনও তালাবন্ধ। কবে সেই ঘর খুলবে, কেউ জানে না! এবার জানা গেল, তাঁর সরকারি পদ পাওয়ার পথও কার্যত বন্ধ হয়ে আছে সুপ্রিম-রায়ে।