নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
দুই জানুয়ারি থেকে ডায়মন্ডহারবার এলাকায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন সেবাশ্রয় কর্মসূচি। শিবিরে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ, গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার যাবতীয় কাজ ইত্যাদি হচ্ছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, মেটিয়াবুরুজ, সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য শিবির শেষ হয়েছে। এখন ক্যাম্প চলছে বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রে। এরপর হবে মহেশতলায়। ইতিমধ্যে ৫০ দিন পার করে ফেলেছে সেবাশ্রয়। সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। এই কর্মসূচির হাত ধরে কোনও শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। হয়েছে প্রবীণ মানুষদের ছানি অপারেশনও। রোগীদের সমস্যা সমাধানে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেবাশ্রয়। ৭৫ দিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সংকল্প করেছিলেন সাংসদ। ‘রামধনু’র মতো ডায়মন্ডহারবারের সাত বিধানসভায় কর্মযজ্ঞের এই নতুন রং সেবাশ্রয় দেবে বলে প্রত্যয়ী এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তরা।
রবিবার বজবজে গিয়ে শিবির পরিদর্শন করেন অভিষেকবাবু। ক্যাম্প নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবককদের কাছে সবিস্তার খোঁজখবর করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। শিবিরে আসা রোগীদের কী ধরনের সমস্যা রয়েছে তা জেনে নেন। দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর সমস্যায় ভুগছিলেন বৃদ্ধা শ্বেতা বিশ্বাস। অর্থাভাবে হাঁটু প্রতিস্থাপন করানো সম্ভব হয়নি। এদিন তিনি সেবাশ্রয় ক্যাম্পে এসেছিলেন। শ্বেতাদেবীর পাশে থাকবার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক। এছাড়াও নিজেদের শারীরিক বিভিন্ন কষ্টের কথা অভিষেককে কাছে পেয়ে জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের যথাযথ সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। কিছুদিন আগে সেবাশ্রয়ের শিবিরে এসেছিল আলতাফ। এখন ন’বছরের এই শিশু সুস্থ হয়ে ওঠার পথে। তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অভিষেকবাবু। এই স্বাস্থ্য শিবিরের সঙ্গে যুক্তদের কথায়, সেবার আলোয় উজ্জ্বল এক নাম সেবাশ্রয়।